প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির মধ্যে দুটি ভরকেন্দ্র তৈরি হয়েছে বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। এই ভরকেন্দ্র দুটি হল রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ, ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা মুকুল রায়। তবে রাজ্য নেতৃত্ব এ ব্যাপারটিকে সর্বদাই অস্বীকার করেছে। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও মুকুল বিজেপি নেতা মুকুল রায় মধ্যে বেশকিছু মতান্তর, মতবিরোধের কথা বিভিন্ন সময়ে শুনতে পাওয়া গেছে। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই দুই নেতার সম্পর্ককে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছেন।

তবে গত সপ্তাহে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও বাংলা বাঁচাও দিবসের কর্মসূচির মঞ্চে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পদার্পনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঞ্চ থেকে চলে গিয়েছিলেন। সেদিন আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জন্য মুকুল রায়ের ওপর বিশেষ আস্থাসূচক বক্তব্য রাখতে পারেন বলে একটি সম্ভাবনা ছিল। সে কারণেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সে স্থান ত্যাগ করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন। পরে অবশ্য জানা হয়েছিল যে, তিনি অন্য কোন একটি কর্মসূচির জন্য অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন।

গতকাল ইন্দোর থেকে কলকাতায় এলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এরপর তাঁরা আরামবাগ যাবেন বলে জানানো হয়। বস্তুত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হলেও, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় মুকুল রায়ের উপরে অধিক গুরুত্ব আরোপ করছেন। এ কারণে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের বিভিন্ন কৌশলকে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

তৃণমূল থেকে বিভিন্ন নেতা-নেত্রী তথা জনপ্রতিনিধিদের বিজেপিতে যোগদান করানোর ব্যাপারে মুকুল রায় যে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন। তা অনুধাবন করতে পেরেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। প্রসঙ্গত গতকাল বাগবাজার ঘটে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি তর্পন মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে স্থানীয় পুলিশ সেই মঞ্চটি খুলে দেয়। এই স্থানেই গতকাল কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায় একসঙ্গে উপস্থিত হলেন। এখানে থেকেই গতকাল কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় একযোগে রাজ্যের শাসক দলকে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যত হুঙ্কার ছাড়লেন।