প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত হলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একজন বিশ্বস্ত সেনাপতি হিসেবে দলকে যেমন তিনি বারবার সাফল্যের হাসি এনে দিয়েছেন, তেমনি দলের অস্বস্তিও বাড়িয়ে দিয়েছেন বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে। যার মধ্যে গুড়-বাতাসা, চরাম-চরাম, অথবা পুলিশের গাড়িতে বোমা মারার মতো মন্তব্যগুলি স্মরণীয়। এবার আবার বিস্ফোরক ও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। বিজেপির সদ্য-প্রাক্তন হয়ে যায় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য তীব্র শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে যা। থেকে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের কামনায় নলহাটেশ্বরী মন্দিরে যজ্ঞ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকরা বিজেপির রাজ্য সভাপতির বদল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে। যার উত্তরে তিনি জানালেন যে, ভেড়া ছিল, এসেছে ছাগল। আগেরটা ছিল ভেড়া, আর এটা ছাগল। অর্থাৎ, কোনরকম রাখঢাক না রেখেই ছাগল ও ভেড়া বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারকে। তাঁর এই কটাক্ষ রাজনীতি মহলে তুলে দিয়েছে ব্যাপক শোরগোল।

বিজেপি নেতাদের প্রতি তার এই প্রবল কটাক্ষ শুনে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই বলতে শোনা যায় যে, একেবারে এমএলএ ফাটাকেষ্টর মতো কথা বলেছেন অনুব্রত মন্ডল। যিনি খবর দেখেন না, খবর শোনেন না, কিন্তু খবর তৈরি করেন। যার একটা করে লাইন হল বর্ষার ফলক। কখনো যা সরাসরি আঘাত করে। আবার কখনো তার কথার মানে খুঁজতে বড় বড় পন্ডিতকেও মাথা চুলকাতে হয়। কিন্তু সমস্ত কিছুতেই তিনি অবিচল। বিরোধীদের কটাক্ষ, সমালোচনা তাঁর কাছে কিছুই না।

প্রসঙ্গত বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে গতকাল তিনি যা করেছেন, তা এক কথায় নজিরবিহীন বলে দাবি করেছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তবে, ইতিপূর্বে সরাসরি নাম না নিয়েও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মুখটা কেমন ব্যাকাপনা। ভালো লাগে না। সারাক্ষণ খালি ম্যা ম্যা ম্যা করে থাকেন। অর্থাৎ সরাসরি না বলেও আড়ালে-আবডালে ছাগল বলেই কটাক্ষ করেছিলেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতাকে।