এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপকে কড়া জবাব পার্থর, জেনে নিন

দিলীপকে কড়া জবাব পার্থর, জেনে নিন


এতদিন রাজ্যে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই ছিল। কিন্তু এবার নন্দীগ্রামে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সফরের পর সেই লড়াই যেন দিলীপ ঘোষ বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। বস্তুত, সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের 3 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির দখলে থাকা খড়গপুর পুনরুদ্ধারে তৃণমূলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রীতিমত শুভেন্দুবাবু নিজের টার্গেট পূরণ করেছিলেন। দীলিপ ঘোষের কাছ থেকে সেই আসন নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকেও ছাড়বার পাত্র নন দিলীপ ঘোষ। আর তাইতো দ্বিতীয়বার রাজ্য সভাপতি হয়েই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রায় সেই নন্দীগ্রামে উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের আসন বেছে নিতে বললেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের বিধায়ক ঠিক করুন, তিনি কোন আসন থেকে দাড়াবেন। না হলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।” অর্থাৎ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাবকে কুপোকাত করার চেষ্টা করলেন বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তাদের দলের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীকে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করবেন, আর তারা ছেড়ে দেবে, এটা তো হয় না। আর তাইতো দিলীপ ঘোষের কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা ময়দানে নেমে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন হাওড়ার শরৎ সদনে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, “উনি তো শুভেন্দুকে আটকানোর জন্য খড়্গপুরে নিজে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাই নিজের সিটটা আগে বাঁচান। তারপর তো শুভেন্দুকে দেখবেন।”

তবে তৃণমূল কি দিলীপ ঘোষকে ফ্যাক্টর হিসেবে মনে করছে! আর তাই কি এখন দিলীপ ঘোষের প্রতিটা মন্তব্যের উত্তরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! এদিন এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা উল্টো কচ্ছপকে কেন সোজা করতে যাব! খালি হাত পা ছুড়বে। কিছু করবার নেই। আপনাদের মাধ্যম দিয়ে তাকে আবার উল্টে দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে আবার হাঁটতে পারে। হাটার কোনো ব্যবস্থা নেই। সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে, বাংলার মানুষের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে তাদের আবার আসতে হবে। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন।”

অন্যদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা বিবৃতি দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগে নিজের মাথাটা ঠিক রাখুন, তাহলেই হবে।” সব মিলিয়ে একদিকে দিলীপ ঘোষ আর অন্যদিকে রাজ্যপালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলে শোরগোল তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!