মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের! জেনে নিন! কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে ময়দানে নামছে বিরোধীরা। দুর্নীতি থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাস, সরকারি প্রকল্পের তৃণমূল নেতাদের নাক গলানো থেকে শুরু করে সন্ত্রাস। এই সমস্ত ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রতিমুহূর্তে বিড়ম্বনায় ফেলে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের তরফে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথেই পাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে প্রতিক্রিয়া। যেখানে বিরোধীরা প্রতিমুহূর্তে সরকারকে মেলাইন করতে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে তাকে পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, শুক্রবার পুরুলিয়ায় বিজেপি চা-চক্র কর্মসূচিতে বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কেবল একাই রাজনীতি করবেন! আমরাও সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করব। দম থাকলে আটকান। আমপান সহ কেন্দ্র সরকারের সব প্রকল্পের টাকা লুট করেছে এই সরকার।” অর্থ্যাৎ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে এখন তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়া যে বিজেপির কাছে প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিনের চা-চক্র থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করতে গিয়ে সেই দুর্নীতিতেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরে তৃণমূল বিরোধিতায় নিজের সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর কথা তুলে ধরে এদিন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে অভিযোগ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। দলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই ওনার।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে সম্প্রতি এই বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্ব তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। কার্যত রাজ্যপালের পক্ষ নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “রাজ্যপালকে তিনি গ্রেপ্তার করতে পারবেন না। থানায় আনতেও পারবেন না। পারলে সেটাও করতেন তিনি। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে অসম্মান করা হচ্ছে। কুৎসা রটানো হচ্ছে। রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারে থেকে সাংবিধানিক কাজ করে যাচ্ছেন।” অর্থাৎ দিলীপবাবু নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চাইলেন, এই রাজ্যে বিন্দুমাত্র গণতন্ত্র নেই এবং রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে প্রতিমুহূর্তে অপমান করছে রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকারকে কটাক্ষ করলেন, তাতে রাজনৈতিক পারদ এখন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা যাবে বাংলায়। তবে সেই পারদ আরও বেশি ঊর্ধ্বমুখী হবে, যখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পাল্টা মুখ খুলে বিজেপিকে কটাক্ষ করা হবে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা কি মন্তব্য করা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -