এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দিলীপের বৈঠকের মাঝেই বিক্ষোভ, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাড়ছে অস্বস্তি!

দিলীপের বৈঠকের মাঝেই বিক্ষোভ, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাড়ছে অস্বস্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামনে আসতে শুরু করেছে। ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে অনেক নেতা-নেত্রীকে। অনেকেই আবার সরব হতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই বৈঠক করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। যেখানে বিজেপিকে সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল বলে দাবি করেন নেতা-নেত্রীরা, সেখানে কেন এভাবে প্রকাশ্যে নানা গন্ডগোল হচ্ছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আর এবার রায়গঞ্জের দিলীপ ঘোষের বৈঠকের মাঝেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ল। যেখানে প্রাক্তন জেলা সভাপতি সহ জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে দলের রাজ্য সভাপতি বৈঠক করছেন, সেখানে বাইরে একশ্রেণীর নেতা-কর্মীদের এই ধরনের বিক্ষোভ কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দেয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

সূত্রের খবর, রবিবার রায়গঞ্জের সুপার মার্কেট এলাকার একটি হোটেলে জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেখানেই প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর সহ দলের একাধিক জেলা কমিটির সদস্যদের ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। আর এরপরই জেলা বিজেপির অনেক নেতাকর্মী সেই বৈঠকের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় জেলা বিজেপির সদস্য বলরাম চক্রবর্তীকে।

তিনি বলেন, “বিশ্বজিৎবাবু আমাকে ও দলের জেলা কমিটির একাধিক সদস্যকে বৈঠক ডাকা হয়নি। বাসুদেববাবুকে দলের জেলা সভাপতি হিসেবে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে দিলীপবাবুর স্বাক্ষর নেই। এতে দলের আইন অমান্য করে বিশ্বজিতবাবুকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে। আমরা দিলীপবাবুকে সমস্ত কথা জানিয়েছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে সরিয়ে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয় বাসুদেব সরকারকে। তবে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর এদিন প্রথম উত্তর দিনাজপুর জেলায় আসেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই তার বৈঠক চলাকালীন প্রাক্তন জেলা সভাপতির একাধিক অনুগামীরা রীতিমত বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন। যার ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, রাজ্য সভাপতি যখন বৈঠক করছেন, তখন কেন প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে সেই বৈঠকে ডাকা হল না? যেভাবে বৈঠকের মাঝখানে প্রাক্তন জেলা সভাপতির অনুগামীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন, তা যে খুব একটা ভালো বার্তা গেল না, তা তো বলাই যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠকে না ডাকা নিয়ে সরব হয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। এদিন তিনি বলেন, “দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি হিসেবে আমাকে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য কেউ কোনো আমন্ত্রণ জানায়নি।”

যদিও বা বিশ্বজিৎবাবুকে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির বর্তমান সভাপতি বাসুদেব সরকার। এদিন তিনি বলেন, “অবাঞ্ছিত কিছু লোক আমার পদ বা দল নিয়ে কি ভাবছেন, তা নিয়ে দল ভাবছে না। বিশ্বজিত- বাবুকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।” তবে এক পক্ষ যখন বলছেন, তাদের ডাকা হয়নি, তখন আর এক পক্ষের পক্ষ থেকে যেভাবে সেই যুক্তি খন্ডন করা হল, তাতে রীতিমত দ্বিধা-বিভক্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি।

অবিলম্বে যদি বিজেপি নেতৃত্ব এই গোটা বিষয়টি সমাধান করতে না পারে, তাহলে তা ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিলীপ ঘোষের বৈঠকের সময় একের পর এক জেলায় বিক্ষোভ সামাল দিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন গেরুয়া শিবিরের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!