প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ সময় নেই রাজ্যে। আর তার মধ্যেই এবার গেরুয়া শিবির নিজেদের ঘর গুছিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে মনোনিবেশ করেছে। সেই সূত্রে গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই ঘাসফুল দুর্গে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করেছে ভালোমতোই বলে দেখা যাচ্ছে। এবং আগামী দিনে যে এই কাজ আরো জোরদারভাবে হবে সে কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। রাজ্য জুড়ে এই মুহূর্তে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি থমকে রয়েছে। আর তাই লকডাউন ওঠার অপেক্ষায় গেরুয়া শিবির।

কারণ দাবি করা হচ্ছে, লকডাউন ওঠার পর দলে দলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এসে যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে বর্তমানে চলছে দলবদলের খেলা। মধ্যপ্রদেশের পরে এবার রাজস্থান। রাজস্থান কংগ্রেস থেকে শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলটের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এই মুহূর্তে রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। দাবি করা হচ্ছে, শচীন পাইলট বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তবে এখনো পর্যন্ত শচীন পাইলট নিজে একথার সত্যতা স্বীকার করেননি বলে খবর।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এদিন জানিয়েছেন, জাতীয় কংগ্রেস এই মুহূর্তে ভেঙে পড়েছে। শুধুমাত্র সভাপতি পদ নিয়ে যেভাবে কংগ্রেসের মধ্যে টানাটানি চলছে, তাতে দলের অন্যান্য নেতারা বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং তাই তাঁরা দল ছেড়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। আর এর মধ্যে স্বল্পবয়সী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সংখ্যাই বেশি বলে দাবি করেছেন দিলীপ। এদিন দিলীপ ঘোষ কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, আগামী দিনে কংগ্রেস পড়তে চলেছে চরম অস্তিত্বসংকটে।

আর তারপরই তিনি বোমা ফাটান রাজ্যের শাসক দলের প্রতি। দিলীপ ঘোষের দাবি, জাতীয় স্তরে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের যে অবস্থা হয়েছে ঠিক একইভাবে রাজ্যে তৃণমূলের হবে। আর তার জন্যই তিনি লকডাউন মেটা পর্যন্ত সময় নিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূল শিবিরের দিকে দেখলে দেখা যাবে, দুর্নীতির চাপে এই মুহূর্তে শাসক শিবিরে চলছে শুদ্ধিকরণ। কিন্তু শুদ্ধিকরণের ঠেলায় পাল্টা শুরু হয়ে গেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে গেরুয়া শিবির যে বদ্ধপরিকর সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, গেরুয়া শিবির নিজেদের সংগঠনের জোর যেভাবে বাড়িয়ে চলেছে রাজ্যের বুকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে শাসক শিবিরের এই মুহূর্তে সংগঠনের ওপর নজর দেওয়া উচিত। যেভাবে প্রতিনিয়ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে শাসকদলের, তা বন্ধ করা ভীষণ প্রয়োজন দলীয় নেতৃত্বের। কারণ দুর্বলতার সুযোগে যেকোনো মুহূর্তে ভাঙ্গন ধরতে পারে তৃণমূল শিবিরে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই যে দিন দিন জমে উঠছে, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ সবাই।