এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-বিভাজন ঠিক কতটা? কৈলাশের সঙ্গে বৈঠকের পরেই নিশ্চিত করে দিলেন মুকুল!

দিলীপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-বিভাজন ঠিক কতটা? কৈলাশের সঙ্গে বৈঠকের পরেই নিশ্চিত করে দিলেন মুকুল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষ দুজনেই বিজেপির হেভিওয়েট নেতা। দিলীপ ঘোষ বিজেপির আদি লগ্ন থেকেই দলে রয়েছেন এবং মুকুল রায় 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল থেকে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলার রাজনৈতিক মহল কিন্তু এই দুই হেভিওয়েট বিজেপি নেতার দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রবল আলোচনারত। মুখে যতই এই দুই নেতা দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করুন না কেন, বিভিন্ন সূত্রে এই দুই নেতার বৈরীতা ধরা পড়েছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি হেভিওয়েট নেতাদের পাঁচিদিনব্যাপী প্রস্তুতি বৈঠক হয় দিল্লিতে। কিন্তু সেখান থেকে একদিনের মধ্যে রাজ্যে ফেরত আসেন মুকুল রায়। আর তখন থেকেই দ্বন্দ্বের জল্পনা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। মাঝে তো এমন জল্পনাও শোনা যাচ্ছিল, যেখানে বলা হচ্ছিল মুকুল রায় আবারো ফিরে যেতে চলেছেন তৃণমূল শিবিরে। জল্পনার ভিত্তি কতদূর ছিল তা জানা নেই কারোর। কিন্তু তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে অবস্থা সামাল দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

কেন্দ্র থেকে রাজ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি পৌঁছেছেন দিলীপ ঘোষ। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে আলোচনার পরেই এবার সুর পাল্টেছেন মুকুল রায়। তাঁর কথায় স্পষ্ট ধরা পড়ছে মিত্রতার সুর। পাল্টা তিনি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর যে দ্বন্দ্বের জল্পনা শুরু হয়েছে তা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে জল্পনার দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জানা গেছে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে জে পি নাড্ডার সাক্ষাৎকারে তিনি দিলীপ ঘোষকে সবাইকে একসাথে নিয়ে একুশের নির্বাচন লড়ার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে দাবি করেন একুশের বিধানসভা নির্বাচন তিনি একার জোরেই জিতে আসতে পারবেন। আর তারপরেই দিলীপ মুকুলের সম্পর্ক নিয়ে আরো বেশি মাত্রায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে মুকুল রায় এই দ্বন্দ্বের জল্পনা বর্তমানে উড়িয়ে দিলেও রাজনৈতিক মহল কিন্তু এখনো সন্দীহান এই দুই নেতার মিত্রতার ব্যাপারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই একুশের বিধানসভার দিকে নজর গেরুয়া শিবিরের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে শুধু বাংলার বিজেপি শিবিরই নয়, কেন্দ্রীয় দলেরও নজর রয়েছে। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচন জিততে গেলে দিলীপ বা মুকুল কাউকেই যে চটানো যাবেনা, সে কথা বিলক্ষণ বুঝেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাই এবার দুই নেতাকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে বাংলায় বিধানসভার মসনদ দখলের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এগিয়ে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!