এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দিলীপের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দুর? বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে দুই নেতার দুই কথা!

দিলীপের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দুর? বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে দুই নেতার দুই কথা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তখন থেকেই দিলীপ ঘোষের সাথে জুটি করে তৃণমূলকে উৎখাত করবেন বলে শোনা গিয়েছিল। তার গলায় বিভিন্ন জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “মেদিনীপুরের বালুমাটি আর বঙ্গোপসাগর। দিলীপ ঘোষ আর শুভেন্দু অধিকারী হাত মিলিয়েছে। তৃণমূলকে যেতে হবেই।” আর তৃনমূলের প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতার এই মন্তব্যে যথেষ্ট উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। এমনিতে তো দিলীপ ঘোষ আছেনই।

তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর সংযোজন যে গেরুয়া শিবিরকে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের দিকে নিয়ে যাবে, সেই ব্যাপারটি কার্যত নিশ্চিত হয়ে উঠেছিল বিজেপি নেতা কর্মীদের কাছে। তবে গেরুয়া শিবিরের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ভোটের ফলাফলে 77 টি আসন পেয়ে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শাসকদলের জায়গায় রয়ে গেছে সেই তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বর্তমানে দিলীপ ঘোষ যেমন রাজ্য সভাপতি, ঠিক তেমনই ঘরে এবং বাইরে তৃণমূলকে চাপে রাখতে নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে সাংগঠনিক দিকে শ্রীবৃদ্ধি করতে যেমন দিলীপ ঘোষ বড় ভূমিকা পালন করবেন, ঠিক তেমনই বিধানসভার ভেতরে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শাসক দলের ওপর চাপ বাড়াবে শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ ভোটের আগে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ জুটি কাজ করেছিল, নির্বাচনে পরাজিত হলেও তারা সেই একইভাবে কাজ করে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে, এমনটাই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব প্রকট হতে শুরু করেছে।

বস্তুত, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ হলেও, শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। সেদিক থেকে এর বিন্দুবিসর্গ জানেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আর তারপরই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। তবে এই গোটা বিষয় সম্পর্কে অবহিতই নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফর সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। আর দলের সভাপতি হয়েও দলের বিরোধী দলনেতার সফর সম্পর্কে কেন অবহিত নন দিলীপ ঘোষ? এখন সেই নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। পাশাপাশি ভোটে বিপর্যয়ের পর তাহলে কি দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হল, এখন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ভোটে বিপর্যয় হওয়ার পরই বিজেপির অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে প্রার্থী চয়ন থেকে শুরু করে রণনীতি স্থাপন, বিভিন্ন বিষয়ে দলের অনেকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি। অভিযোগের তীর উঠেছে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মত প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে। এমনকি দলে ভাঙনের ব্যাপারেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করা হলেও তার কিছুই জানেন না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অনেকে বলছেন, এটা শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে। আবার একাংশের দাবি, ভোটে বিপর্যয়ের পর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নানা প্রশ্নে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে যেতে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে।

তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর দলের অন্যান্য নেতা নেত্রীদের অপেক্ষা বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই শুভেন্দু অধিকারীকে। যার ফলে যে খুব একটা ভালো হয়নি। সেই ব্যাপারে ভোটের ফলাফলের পর দিলীপ ঘোষের দিকে প্রশ্ন তুলেছে দলের নেতৃত্ব। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে কার্যত দূরত্বকেই স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!