এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিলীপকে সরিয়ে দায়িত্বে মুকুল! বিধানসভার আগে খুশির হাওয়া অনুগামীদের মধ্যে!

দিলীপকে সরিয়ে দায়িত্বে মুকুল! বিধানসভার আগে খুশির হাওয়া অনুগামীদের মধ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে শাসকদল তৃণমূল বেশকিছু সাংগঠনিক রদবদলের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে। জেলায় জেলায় চলছে তৃণমূলের সংগঠনেরগত রদবদল। কোথাও ব্লক সভাপতি, কোথাও বা জেলা সভাপতি অপসারিত করে নতুন সভাপতিকে নানা হচ্ছে। এমনি রদবদল ঘটতে দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু ব্লক ও শহর স্তরের বেশকিছু সাংগঠনে বদল ঘটানো হলো। এই জেলার ৫ টি ব্লকের সভাপতি ও তিনটি শহর সংগঠনের সহ-সভাপতি পরিবর্তন করা হল।

প্রসঙ্গত, দাঁতন ১ ব্লকের সভাপতি ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান। তাঁকে পদচ্যুত করে এখানকার নতুন সভাপতি করা হলো প্রতুল দাসকে। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের সভাপতি ছিলেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দলুই। তাঁকে পদচ্যুত করে এখানকার সভাপতি করা হলো জগজিৎ সরকারকে। অন্যদিকে মোহনপুরের সভাপতি ছিলেন প্রদীপ পাত্র তাঁকে অপসারিত করে নতুন সভাপতি হলেন মানিক মাইতি। গরবেতা ৩ ব্লকের সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় অপসারণ করে নতুন সভাপতি করালো রাজীব ঘোষ কে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পূর্ব সভাপতি দিলিপ দেকে অপসারণ করে নতুন সভাপতি করা হলো মুকুল সামন্তকে।

এভাবে চলল রদবদল। এ বিষয়ে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন, ” আমাদের দলে সবাই যোগ্য মানুষ ছিলেন। বৃহত্তর কাজের স্বার্থে দল কাউকে কাউকে পরিবর্তন করেছে। এটা কিন্তু কারও শাস্তি নয়।’’ প্রসঙ্গত, মোহনপুরের অপসারিত সভাপতি প্রদীপ পাত্র শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আবার গরবেতা ৩ এর সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় এর অপসারণ সম্পর্কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, ” নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছিলেন। ওঁর আশির উপরে বয়স। উনি নিজেই সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। ওঁকে জেলার সহ- সভাপতি করা হয়েছে।’’

অন্যদিকে ক্ষীরপাই এর নতুন সভাপতি করা হয়েছে বীরেশ্বর পাহাড়িকে, রামজীবনপুর এর করা হয়েছে সুজিত পাঁজাকে, চন্দ্রকোনার করা হয়েছে প্রদীপ সাঁতরাকে, তবে খড়্গপুরের সভাপতি কাকে করা হবে? তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। খড়্গপুরের সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডেকে জেলা সহ-সভাপতি করা হলো। এভাবেই রদবদল চললো শহর স্তরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির নেতৃত্বে নতুন জেলা কমিটি গঠনের সময় সাংসদ মানস ভুঁইয়া, দলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেশ রায়, শাসকদলের বেশকিছু বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। জেলা সহ-সভাপতি করা হলো ২১ জনকে, সাধারণ সম্পাদক করা হল ২৭ জনকে, অন্যদিকে সম্পাদক করা হলো ৩০ জনকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির মোট সদস্য হলেন ৩৭ জন। এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতির বক্তব্য, ” ‘‘জেলা কমিটি একটু বড়ই রয়েছে।’’

তৃণমূল দলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থকরা মনে করছেন, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই বদল করা হল। এর মাধ্যমে নবীন-প্রবীণের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছেন পিকে। একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে শক্তিশালী না করে সমস্ত গোষ্ঠীকে তুষ্ট করতে ব্লক সহ সভাপতির পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীই রয়ে গেছেন, কিন্তু দুর্লভ ঘোষকে ব্লক সভাপতি করার দাবি উঠেছিল। তাই তাঁকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে।

এই রদবদলের কারণে, বিক্ষভের আশঙ্কা প্রসঙ্গে জেলা সভাপতির বক্তব্য, ‘‘ আমাদের দলের সহকর্মীদের এটাই বিশেষত্ব যে, সবাই সব জায়গায় কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। একুশের লক্ষ্যে সব সহকর্মীরা মন দিয়ে কাজ করবে বলে দিদির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ প্রয়োজনে জেলা কমিটিতে নতুন নাম অন্তর্ভুক্তিকরণেও তিনি আগ্রহী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!