এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লির বৈঠকে বড়সড় ধাক্কা রাহুলের, জেনে নিন কারণ

দিল্লির বৈঠকে বড়সড় ধাক্কা রাহুলের, জেনে নিন কারণ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে পক্ষ থেকে বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়। যে তালিকাতে দেখা যায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। সে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরা।

বিজেপির সর্বভারতীয় পদাধিকারীর তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাহুল সিনহা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ” ৪০ বছর বিজেপির সেবা করার পর তৃণমূল থেকে নেতা আসছেন বলে আমাকে সরতে হল। পরবর্তী পদক্ষেপ ১০-১২ দিনের মধ্যে জানাব।” দলের কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে তাঁকে অপসারিত করে তৃণমূল থেকে আসা অনুপম হাজরাকে এই পদ দেওয়ায় বিজেপি দলের বেশ কিছু সদস্যও দলের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। এর ফলে দলের মধ্যে তৈরি হয় গুঞ্জন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অনেকে মনে করেছিলেন রাহুল সিনহা দল বদলের মত কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে শান্ত করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে।

গত মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশের সঙ্গে তাঁর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।এই বৈঠকে বিজেপি নেতা শিবপ্রসাদ তাঁকে দিল্লি যাবার পরামর্শ দেন। সেইমতো তিনি গত বুধবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। অনেকে মনে করেছিলেন তাঁর সমস্ত মান-অভিমান দূর করে তাঁকে শান্ত করতে, ও তাঁকে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করতেই দিল্লিতে আলোচনা চলতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দিল্লিগামী বিমান ধরতে যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরের গেটের সামনে একদল বিজেপি সদস্য বিক্ষভ দেখান ও তাঁর উদেশ্যে জানান, ” পদ না পেয়ে দিল্লি যাওয়া চলবে না।” সে সময় তিনি নিজেকে দলের একজন শৃঙ্খলা পরায়ন সৈনিক হিসেবে ব্যক্ত করেন। তিনি দলের একজন শৃঙ্খলা পরায়ন সৈনিক হবার কারণেই শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি তাদের বুঝিয়েছিলেন।

দিল্লিতে গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশের ও রাজ্য নেতা রাহুল সিনহা প্রমুখরা। কিন্তু আশ্চর্যভাবে দেখা গেল যে, গতকালের এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই আলোচিত হলো , কিন্তু রাহুল সিনহার ব্যাপারে কোনো রকম আলোচনাই হলো না। দলের প্রতি তাঁর ক্ষোভের
বিষয়টিও অনালোচিতই থেকে গেলো।

বৈঠক শেষে এ বিষয় নিয়ে রাহুল সিনহার প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সহকারী ফোনে জানালেন, ” দাদা আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।” গতকালের এই ঘটনায় দলের পুরোনো সৈনিক রাহুল সিনহার পুনর্বাসনের প্রতি তাঁর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আদৌও ভাবিত কিনা? সে ব্যাপার নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!