প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয়লাভের পর এবার দেশজয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তৃণমূলের। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে সমস্ত বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বদের এক ছাতার তলায় আসার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিরোধীদের একজোট করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা, অন্যদিকে তেমনি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। জানা গেছে, একাধিক বিরোধী নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

গতকাল দিল্লি পৌঁছানোর পর ১৮৩ সাউথ এভিনিউতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এরপর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দিল্লিতে তিনি সোনিয়া গান্ধী, শারদ পাওয়ার, পি চিদাম্বরম প্রমুখদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে, জানা যাচ্ছে। বাদল অধিবেশন চলার কারণে সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীরা দিল্লিতেই উপস্থিত রয়েছেন। আর এই সুযোগটাই নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কিছুদিন দিল্লিতে বড়োসড়ো কর্মসূচি পালন করতে পারেন তিনি।

আজ সন্ধ্যেবেলা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, আনন্দ শর্মা, অভিষেক মনু সিংভির। এই বৈঠকের বিরোধী দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার পরিকল্পনা করার একটা যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে পেগাসাস বিতর্কে তৃণমূল ও কংগ্রেস কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। আবার রাজ্যের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে যে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত, তিনিও তাঁর বিরোধিতার সুর নামিয়ে দিয়েছেন। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন থেকেই বিরোধী দলগুলোকে এক ছাতার তলায় এনে শক্তিশালী মহাজোট গঠন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।