প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় ধরে বৈঠক করলেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি তিনি অপ্রকাশিত রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে? সে বিষয়েও তিনি বক্তব্য রাখেন নি। তবে, তাঁদের এই বৈঠকের পর থেকেই, তাঁর দল বদলের জল্পনা আবার তীব্র আকার ধারণ করেছে।

সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর দাদা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী রূপে খ্যাত তিনি। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়েন্ট কিলারের অভিধা পেয়েছেন তিনি। ভাই সৌমেন্দু অধিকারী যোগদান করেছেন বিজেপিতে, পিতা শিশির অধিকারীও বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এখনো পর্যন্ত তিনিই শুধু তৃণমূলে রয়ে গিয়েছেন। তবে, তাঁকে তেমন কোন সক্রিয় ভূমিকায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে, তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বারবার দলের ওপর মহলের কাছে মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেও দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি দল। কারণ দল বিরোধী কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি দিব্যেন্দু অধিকারীকে, আবার দেখা যায়নি বিজেপির কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে। তবে, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বিজেপির যেমন ঘনিষ্ঠতা, পরিবারের একাধিক সদস্য যেভাবে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাতে যে কোনো সময় তিনিও বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে জল্পনা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যে বৈঠক হয়েছে, একথা প্রায় অপ্রকাশিত রেখেছেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। বৈঠকে তাঁদের মধ্যে কি কথাবার্তা হয়েছে? সে বিষয়েও তিনি কিছু বলতে ইচ্ছুক নন। তবে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে রাজ্যে ভ্যাকসিনের যোগান বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। আবার এর সঙ্গেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। এবার তিনি দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন কিনা? সে দিকেই রয়েছে জল্পনা। কারন দলে থাকলেও, দলের সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ রাখছেন না দিব্যেন্দু অধিকারী। দলের অনুষ্ঠানেও যোগদান করতে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।