এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিন-তারিখ বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঙ্কার শুভেন্দুর, জোর শোরগোল!

দিন-তারিখ বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঙ্কার শুভেন্দুর, জোর শোরগোল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মুকুল রায়, এমনকি সদ্য দলে আসা শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত প্রায় সকলেই নিশ্চিত, এবার রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সেই মত করে তৃণমূলকে কুপোকাত করতে এবং বেশি ভোটে জয়লাভ করতে ও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। লাগাতার বিভিন্ন জেলায় কর্মীসভা করতে দেখা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীকে।

তবে সেই সভা করতে গিয়ে নানা জায়গায় তৃণমূলের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এই সমস্ত বিজেপি নেতারা বলে অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে রীতিমত নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে “এমন কিছু করবেন না, যাতে 15 মের পর আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়”, এই বলে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আজ বুধবার বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে রামনগর পিছাবনী থেকে কাঁথি পর্যন্ত একটি পরিবর্তন যাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কর্মসূচি শেষে বক্তব্য রাখতে উঠে রীতিমত নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “15 মে’র পর আর তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না। তাই এমন আচরণ করবেন না, যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়। নিউটন একটি থার্ড ল বলে গিয়েছেন। প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত ধর্মী প্রতিক্রিয়া থাকে। সেটা যেন প্রয়োগ করতে না হয়।”

অর্থাৎ শুভেন্দুবাবু এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস এখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করছে, পরবর্তীতে তাদের দল ক্ষমতায় আসলে তারা সেই আচরণ করতে বাধ্য হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপিকে সভা-সমিতি করতে দেওয়াতে আটকাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল বলে অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদি সেই বাধা আসে, তাহলে পরবর্তীতে তারা আঘাতের প্রত্যাঘাত করবে।

স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর মত গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো নেতার মুখে এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে এখন রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সমালোচকদের মধ্যে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বিজেপি সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার কথা বলছে। কিন্তু এখন থেকেই যদি তারা বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শোনায়, তাহলে সেই বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কোথায় পার্থক্য রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার বলছেন, সকলেরই সহ্য করার একটা ক্ষমতা রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা কর্মীদের লাগাতারভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যে বারবার শান্ত থাকার কথা বলেও লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতারা নিজেদের কর্মী সমর্থকদের সাহস দিতে এবং উজ্জীবিত করতেই এই ধরনের কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন। যা গণতন্ত্রের পক্ষে খুব একটা শুভ না হলেও, নিজের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে বাংলার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেওয়ায় জন্যই এই ধরনের কথা বলতে হচ্ছে হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে যেভাবে তৃণমূল 15 মে-এর পর আর থাকবে না বলে আত্মপ্রত্যয়ী দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে নিঃসন্দেহে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে যদি সত্যিই ক্ষমতার বদল ঘটে এবং বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে গণতন্ত্রের কথা বলা ভারতীয় জনতা পার্টি আঘাতের বদলে প্রত্যাঘাত করে, নাকি রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজিয়ে মানুষের উদ্দেশ্যে তাদের জয়কে সমর্পণ করে, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!