এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিনেদুপুরে অভিষেক গড়ে বিজেপি নেতার উপর হামলা, রাজনৈতিক পারদ চড়ছে বঙ্গে!

দিনেদুপুরে অভিষেক গড়ে বিজেপি নেতার উপর হামলা, রাজনৈতিক পারদ চড়ছে বঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আর এর মাঝেই তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা শমীক ভট্টাচার্য। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। প্রায় বিভিন্ন জায়গাতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

কিন্তু এবার যেভাবে রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতার ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটল, তাও আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে, তাতে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে মঙ্গলবার দুপুরে ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসকের অফিসে বিজেপির বিক্ষোভ অভিযান ছিল।আর সেখানেই যাচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

তবে ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথেই মাঝরাস্তায় তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা দাবি করেন, দুষ্কৃতীরা গাড়ির আরোহীদের কাছ থেকে মোবাইল, সোনার হার এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কেও গালিগালাজ করতে দেখা যায় তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্যের ওপর এই ধরনের আক্রমণের ঘটনায় এখন তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, রাজ্যে এত দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত কোথা থেকে হচ্ছে? যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে বারবার বলছেন, অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না, সেখানে কেন দুষ্কৃতীরা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর এই ভাবে হামলা চালাচ্ছে? ইতিমধ্যেই টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লকে গুলিবিদ্ধ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে আলোরন পড়ে গিয়েছে।

আর এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় যেভাবে শমীক ভট্টাচার্যের ওপর আঘাত নেমে এল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, আসলে তৃণমূলের এখন কাজ হল বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা। তাই বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে গণতন্ত্র কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা হলেও দলের সমস্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বাংলায় বিরোধীদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া হয়। কিন্তু তার সংসদীয় এলাকায় প্রবেশ করার আগেই যেভাবে শমীক ভট্টাচার্যের মত বিজেপি নেতার ওপর আক্রমণ নেমে এল, তা কি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা নয়! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে 2021 এ তারা রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরছে না।

তাই এখন থেকেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তবে যে যাই বলুক না কেন, যেভাবে বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিজেপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়ার পর আরেক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের উপর আক্রমণ নেমে এল, তাতে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়ছে শাসক দলের ওপর। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!