দিনেদুপুরে বন্দুক হাতে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল! জোর চাঞ্চল্য ! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য September 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। এমনকি তৃণমূল নেতারা অস্ত্র আমদানি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। আর এবার প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূল নেতার পিস্তল হাতে গুলি ছুটে যাওয়ার ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল এলাকায়। সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে ডোমকলের রঘুনাথপুরে এক তৃণমূল নেতার গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তবে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডোমকলের তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি সহ 3 জন ব্যাক্তিকে। একাংশ বলছেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চরম পর্যায়ে রয়েছে। এদিন এই ঘটনায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন সেই দ্রুত ওয়ার্ড সভাপতি আসাদুল ইসলাম এবং আরেক তৃণমূল নেতা রাকিবুল ইসলাম তৃণমূলের এক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এলাকার ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। আর তার কারণেই এদিন তারা গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের ফলে এলাকা এদিন আরও একবার অশান্ত হয়ে উঠল বলেই দাবি করছেন সাধারণ মানুষ। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী এলাকাকে উত্তপ্ত করলে মানুষ কিভাবে প্রশাসনের উপর ভরসা রাখবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। যেখানে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন নিজের এলাকা শান্ত রাখুন, সেখানে তৃণমূলের নেতারা যদি নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে গুলি চালাতে শুরু করেন, তাহলে এলাকা ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি সহ তিন জনকে এই গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য অন্যায় করলে যে দোষীদের কোনোমতোই ছেড়ে দেওয়া হবে না, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু তৃণমূল যদি নিজেদের দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে না পারে, তাহলে তো রোজ নতুন করে অশান্তি তৈরি হবে! সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের শান্তি তো অনেকটাই বিঘ্নিত হবে! যার ফলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে তৃণমূল কংগ্রেসের? কেন তৃণমূল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, “অসামাজিক কাজ যারা করবে, তাদের দল সমর্থন করবে না। একথা আমরা আগেই বলেছিলাম। ডোমকলে গুলিচালনার ঘটনাতেও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। দলে কোনো দুস্কৃতীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।” এদিকে এই প্রসঙ্গে ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। আইনের চোখে যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। তবে রবিবারের ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে তৃণমূল নেতারা যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে এই গুলি চালানোর ঘটনায় তিন তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হলেন, তাতে নিঃসন্দেহে চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -