এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অভিভাবকদের হাতে শিক্ষকদের হেনস্থায় ছাত্রদের প্রতিবাদে উত্তাল দিনহাটা

অভিভাবকদের হাতে শিক্ষকদের হেনস্থায় ছাত্রদের প্রতিবাদে উত্তাল দিনহাটা

বিদ্যালয় থেকে রবিঠাকুর মাঝে মধ্যেই পালিয়ে আসতেন। কারন তিনি প্রথাগত শিক্ষাকে মোটেই পছন্দ করতেন না। তবে সেই শিক্ষা অপছন্দের কারনে বিদ্যালয় থেকে পালাতে গিয়ে যদি কখনও বা ধরা পরতেন তবে তার কারনে গুরুজনরা বকাবকি করলেও গায়ে হাত তোলা তো দূর অস্ত উল্টে একটি বাক্যও প্রয়োগ করতেন না। কিন্তু বর্তমান সমাজে সেই বিদ্যালয় থেকে চুপিসারে পালানো ছাত্রকেই ধরতে গিয়ে অবিভাবকদের দ্বারা মারের সম্মুখীন হতে হল এক শিক্ষককে। যার কারনে মঙ্গলবার রিতীমত উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটার সোনিদেবী জৈন হাইস্কুল।

কিন্তু ঠিক কি কারনে হেনস্থা হতে হল জাতির মেরুদন্ড এই শিক্ষককে? জানা গেছে, মঙ্গলবার যখন বিদ্যালয়ে টিফিন চলছিল ঠিক সেই সময়ই এক ছাত্র স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করে এক অশিক্ষক কর্মচারী তাঁকে ধরে তাঁর ব্যাগ আটকে রাখে। আর এরপরই ছাত্রটি বাড়ি থেকে তাঁর মা ও দাদুকে ডেকে নিয়ে আসলে তাঁরা সেই অশিক্ষক কর্মচারীকে বেধরক মারধর করেন। আর সেই ঘটনা আটকাতে আসা শিক্ষকদেরও ধাক্কাধাক্কি করেন ওই ছাত্রের অভিভাবকরা। এমনকী প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে শিক্ষকদের প্রতিবাদে চম্পট দেয় সেই অভিযুক্ত ছাত্র ও তাঁর পরিবার। আর এই ঘটনায় রিতীমত তাজ্জব বনে গিয়েছেন শহরের বিদ্দ্বজন থেকে সাধারন মানুষেরা।’

 

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারুন রশিদ বলেন, “শিক্ষকদের মারধর করার ঘটনায় ওই অভিযুক্ত ছাত্র ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রায় 20 মিনিট দিনহাটা-গীতালদহ রংপুর রোড অবরোধ করে। পরে তা পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায়।” অপসংস্কৃতি সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হচ্ছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা বলে অভিবাবকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ।

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দিনহাটার সাহিত্যিক মানিক সাহা বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভালো কথা চিন্তা করে শিক্ষকরা যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেন তখন তা অভিভাবকদের শ্রদ্ধা জানানো উচিত।” অন্যদিকে সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের কারনেই যে এহেন ঘটনা ঘটছে সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত দিনহাটার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। তবে আগেকার দিনে শিক্ষকরা ছাত্রদের উপযুক্ত কারনে শাস্তি দিলে অভিভাবকরা তা কায়মনোবাক্যে মেনে নিতেন। কিন্তু বর্তমানে উপযুক্ত কারন এবং দোষ করলেও সেই ছাত্রকে শুধুমাত্র বারন করা হলেই কেন অসহিষ্নু হয়ে শিক্ষকদের প্রতি রনংদেহী আচরনে আবির্ভূত হচ্ছেন অভিভাবকরা? তাই প্রত্যেকেই এখন চান সমাজ ও অভিভাবকেরা এই আক্রমন থেকে দূরে থাকুক।রবীঠাকুরের ভাষায়, “শিক্ষা হোক আনন্দনিকেতন। তাকে বাহন করে শিক্ষার্থীরা মনের আনন্দে পৌছে যাক জ্ঞান ও স্বকীয়তার রাজ্যে।” সব মিলিয়ে শিক্ষকরা ছাত্র গড়ুক আর অভিভাবকেরা তাতে সঙ্গত দিন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!