এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিনভর টানাপোড়েনের শেষে গৃহীত শুভেন্দুর পদত্যাগ, ছেড়ে যাওয়া ৩ দপ্তর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার

দিনভর টানাপোড়েনের শেষে গৃহীত শুভেন্দুর পদত্যাগ, ছেড়ে যাওয়া ৩ দপ্তর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই তাকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। যার পরই তীব্র জল্পনা শুরু হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। মনে করা হয়, তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি করতে শুরু করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে এবার সেচ, পরিবহন এবং জনসম্পদ, তিনটি মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী।

তবে শুভেন্দু অধিকারী এই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে তার সেই ইস্তফা গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়ে যেমন সংশয় তৈরি হয়েছিল, তেমনই যদি সেই ইস্তফা গ্রহণ করা হয়, তাহলে কে এই তিন দপ্তরের মন্ত্রী পদ সামলাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখনই শুক্রবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে, শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া তিনটি দপ্তর এখন থেকে সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী।

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া এই তিনটি দপ্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে রেখে কার্যত শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিতে চাইলেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, কেউ যদি দলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবেন না। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় যে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি কেউ জনপ্রিয় নেতা হিসেবে থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী যখন সমস্ত মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সেই দপ্তরগুলোর দায়িত্ব নিয়ে কার্যত শুভেন্দুবাবুকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করলেন বলে দাবি করছেন একাংশ। বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল, তখন সৌগত রায় তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন। যার ফলে আশা করা হয়েছিল, শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করবে।

কিন্তু সাম্প্রতিককালে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান পদের পাশাপাশি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। যার পরে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। তবে রাজ্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দেওয়ার পর সেই দায়িত্ব কে সামলাবে, তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই সমস্ত দপ্তরের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তীব্র হয়েছিল, তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তিনি নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পৌরসভার বাইরে আলু বিক্রি করতে হতো।” আর এরপরই নাম না করে সেই কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বুঝিয়ে দেন, কাজ করতে গেলে পদ লাগে না। স্বাভাবিকভাবেই এই কথার পর শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে।

অর্থাৎ দলের একাংশের পক্ষ থেকে তার একাধিক পদ নিয়ে যেভাবে কটাক্ষ করা হয়েছিল, এদিন সেই সমস্ত জায়গা থেকে ইস্তফা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি পদ ছাড়াও মানুষের কাজ করে যাবেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার সাথে সাথেই তিনি দল ছাড়বেন কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর চেষ্টা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে একাংশ মনে করেছিলেন। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুই হতে দেখা যায়নি। উল্টে শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে দেওয়া সমস্ত দপ্তরের দায়িত্ব এবার নিজের কাঁধেই নিয়ে নিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!