এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দীর্ঘদিন পর শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যু নিয়ে তদন্তে পুলিশ, চাপানউতোর তুঙ্গে

দীর্ঘদিন পর শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যু নিয়ে তদন্তে পুলিশ, চাপানউতোর তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুরনো একটি খুনের মামলাকে কেন্দ্র করে বড়োসড়ো বিপাকে পড়তে পারেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনাচক্রও সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। 2018 সালে যখন শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন, ঠিক সে সময় হঠাৎই একদিন তাঁর দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর মৃতের স্ত্রীর আবেদনে আবারও পুরনো ফাইল খোলা হল শুভেন্দু অধিকারীর তৎকালীন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু সংক্রান্ত রহস্য সমাধানের জন্য। কার্যত প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন পরে কেন নতুন করে আবেদন করা হলো? আর তাই নিয়েই মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী।

তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই মৃত্যু বরাবরই রহস্যজনক। তার কারণ তাঁর পরিবারের কাছে পরিষ্কার নয় কিভাবে গুলি লাগলো কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হতে অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল কেন? তাই নতুন করে তিনি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। কার্যত এই ঘটনাটি ঘটে 2018 সালের 14 ই অক্টোবর। সেইদিনই সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। সেসময় মৃতের স্ত্রী একটি স্কুলে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তিনি স্বামীর মৃত্যুর খবর পান। জানা গেছে, প্রথমে শুভব্রতকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপর সিদ্ধান্ত হয় শুভব্রতকে কলকাতায় স্থানান্তর করানোর। কিন্তু এখানেই প্রথম বাধা আসে। জানা যায়, শুভব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাবার জন্য কোনো অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি যা কার্যত অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে দাবি করেছেন শুভব্রতর স্ত্রীর। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, একজন মন্ত্রীর দেহরক্ষী কিভাবে আহত হলেন কিংবা তাঁকে কলকাতা নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল কেন? তার কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। পাশাপাশি এত দেরিতে নতুন করে আবেদন কেন হলো তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। এর কারণহেতু মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, যেহেতু এতদিন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী একজন সরকারী পদস্থ মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন, তাই তার প্রভাব এড়িয়ে এই কেস রিওপেন তিনি করতে পারেননি।

কিন্তু বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তাই এবার আর চুপ থাকতে পারেননি সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। সরাসরি তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং তাঁর স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত শুরু করার আবেদন রেখেছেন। আপাতত জানা যাচ্ছে সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে জেরা করা হতে পারে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। কার্যত এই মৃত্যুর পেছনে কে বা কারা তাই নিয়েই শুরু হতে চলেছে নতুন করে তদন্ত। এবং এই ঘটনার হাত ধরে কোনো হেভিওয়েট নাম সামনে আসে কিনা, সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!