এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দীর্ঘদিনের তীব্র অসম্মতির পর শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সম্মতি রাজ্য সরকারের

দীর্ঘদিনের তীব্র অসম্মতির পর শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সম্মতি রাজ্য সরকারের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া এক দেশ এক রেশন প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের সম্মতি ছিল না, তবে শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পে সম্মতি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গতকাল নবান্নে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে রাজ্যে এক দেশ এক রেশন প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খাদ্যসাথী প্রকল্পে মোট ১০ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষকে রেশন দেওয়া হচ্ছে। এক দেশ এক রেশন প্রকল্পে রাজ্যের কোনো অসম্মতি নেই। এর কাজ শুরু হয়েছে, তবে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। সেটা করে ফেলতে হবে। ৩ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তাঁরা চাইছেন সকলে যেন ঠিকমতো রেশন পান। তবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করতে হলে আরো কিছুটা সময় দরকার। যে সমস্ত কৃষকের এক একরের বেশি জমি রয়েছে, তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দেয়া হবে। যাদের জমির পরিমাণ কম তাদের ৪ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। আগামী ১৬ ই জুন থেকে এই প্রকল্প চালু হবে। এরপর লক্ষীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এর মতো প্রকল্পও চালু করা হবে।

গতকাল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত উপভোক্তার রেশন কার্ডের নম্বর, মৃত্যুর শংসাপত্র জোগাড় করে তার পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেজ তৈরি করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। আবার যে সমস্ত ক্ষেত্রে উপভোক্তার রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ করা হয়নি, সে কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এমনও অনেকে আছেন, যাদের কাছে পরিচয় পত্র হিসেবে রেশন কার্ড আছে, কিন্তু সেই কার্ড দিয়ে রেশন তোলা যায় না। এই সমস্ত ব্যক্তিদের নিয়েও ডেটাবেজ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়া রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় ভিজিল্যান্স টিমকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে অধিকমাত্রায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই করোনার সংক্রমণ রোধ করতে প্রয়োজনে স্থানীয় স্তরে বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে, গত বছর থেকে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছিল। এ বিষয়ে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

কিছু ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেশন তোলার পর এসএমএসের মাধ্যমে তার বার্তা পাঠানোও বেশ কিছু ক্ষেত্রে চালু হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের ফোন নম্বর না থাকা, আধার কার্ড-রেশন কার্ডের সংযুক্তিকরণ না হওয়ার মতো সমস্যা থেকে গেছে। এবার এই সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যে এক দেশ, এক রেশন প্রকল্প চালু করার সম্মতি দিয়েছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!