এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “দিদির পাঠশালায় সিলেবাস কাটমানি।” মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

“দিদির পাঠশালায় সিলেবাস কাটমানি।” মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ খড়্গপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। একাধিক বিষয়ে প্রবল আক্রমণ করলেন তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নয়া শিক্ষা নীতির প্রবল বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এই ইস্যুতে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী(দিদি)র পাঠশালায় অরাজকতার শিক্ষা দেয়া হয়। তিনি জানালেন, দেশে প্রায় ৩৫ বছর পর নতুন শিক্ষানীতি এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশ এই নতুন শিক্ষানীতির প্রশংসা করেছে। স্থানীয় ভাষায় লেখা পড়ায় জোর দেয়া হচ্ছে। তাঁরা চান গরিবের সন্তানও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক। কিন্তু ভাষার জন্যই তাদের স্বপ্ন পূরণ হয় না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তার বিরোধিতা করেছেন। তৃণমূল সরকার নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নে বারবার বাধা দিচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী জানান, গরিবের ছেলে ডাক্তার হোক, তাতেও আপত্তি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। একারণে নতুন শিক্ষানীতি চালু করতে চাইছেন না তিনি। যুব সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়েও কোন কোন চিন্তা-ভাবনা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী কাছে ১০ বছরের হিসেব চাইছেন এখন বাংলার মানুষ। কিন্তু তার পরিবর্তে অত্যাচার চালাচ্ছেন তিনি। তাঁকে অনেক বলা হয়েছে, কিন্তু কোন কথাই তিনি কানে তুলছেন না। প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করলেন, মুখ্যমন্ত্রী পাঠশালা হলো নির্মমতার, সিন্ডিকেটের পাঠশালা। এই পাঠশালায় অরাজকতার শিক্ষা দেওয়া হয়।

এরপর জনতার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, রাজ্যের মানুষের অস্থিরতা বুঝতে পারছেন তিনি। কংগ্রেস, সিপিএম এর পর ১০ বছর ধরে সহ্য করে আসছেন তারা তৃণমূলকে। মুখ্যমন্ত্রী তুষ্টিকরণ এর রাজনীতি করে এসেছেন বারেবারে । সমাজের কাছ থেকে ১০ বছর কেড়ে নিয়েছেন। গতকাল রাতে ৫০ থেকে ৫৫ মিনিটের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ডাউন হলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন মানুষ। কিন্তু বাংলার উন্নয়নতো ৫০ থেকে ৫৫ বছর ধরে আটকে আছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপিকে বারবার অবাঙালির দল, বহিরাগতের দল বলে কটাক্ষ করে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, বিজেপি জনসঙ্ঘের ছত্রছায়ায় তৈরি। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সেই অর্থে বিজেপিই সঠিকভাবে বাংলার দল। জনতার উদ্যেশে তিনি জানান যে, ৭০ বছরে তাঁরা অনেককে সুযোগ দিয়েছেন। ৫ বছর তাঁদের সুযোগ দিন। এই ৫ বছরে ৭০ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন তাঁরা। মানুষের কল্যাণে প্রাণপাত করে দেবেন তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!