এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জেলার শীর্ষনেতা- নেত্রীদের মধ্যে যোজন দূরত্ব! মেটাতে পারবেন মমতা? তাকিয়ে সব পক্ষই!

জেলার শীর্ষনেতা- নেত্রীদের মধ্যে যোজন দূরত্ব! মেটাতে পারবেন মমতা? তাকিয়ে সব পক্ষই!


 

গনি খানের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল মালদহ। প্রবল সিপিএমের দাপট থাকা সত্ত্বেও এখানে কংগ্রেসের সাফল্য রুখতে পারেনি কেউ। তবে সেই সিপিএমকে কুপোকাত করে 2011 সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করার পর মালদহে অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির।

প্রথম দফায় বেশকিছু বিধায়ক এই মালদা থেকে তৃণমূল পেলেও তারপর থেকেই এই জেলায় তৃণমূলের ভাঙ্গন ঘটতে শুরু করে। যার প্রথম এবং প্রধান কারণ দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। বর্তমানে গোষ্ঠী কোন্দল এমন আকার নিয়েছে যে, এই জেলার দুই পৌরসভার কাউন্সিলরদের একাংশকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পর্যন্তও আনতে দেখা গেছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মালদায় আগমন রীতিমতো চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের আগে মালদা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তারপরই উত্তর মালদায় তাকে প্রার্থী করা হলেও তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। যার পরবর্তীতে সেই মৌসম বেনাজির নূরকে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেয়ারম্যান করা হয় প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তবে এরপরও গোষ্ঠী কোন্দল কোনো অংশে কমেনি মালদায়। দলের গঠনতন্ত্র ঠিক নেই বলে বিভিন্ন সময় উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গেছে জেলা তৃণমূলের অধিকাংশ নেতৃত্বকে।

কিন্তু এইভাবে দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল চলতে থাকলে যে মালদহে তৃণমূল কোনোদিনই সাফল্যের মুখ দেখতে পাবে না, তা ভালোই বুঝতে পেরেছেন জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্ব। আর তাইতো এবার প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন বলে খবর রটতে শুরু করল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে কারা কারা ডাক পাবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেরই আশঙ্কা, যদি তাদেরকে না ডাকেন, তাহলে হয়ত বা তাদের ওপর চরম পরিমাণে ক্ষুব্ধ দলের সুপ্রিমো। আর তাই সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন যে, ঠিক কাকে কাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে ডাকা হয়! সূত্রের খবর, আগামী 19 নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করে মহানন্দ ভবনে দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর সহ বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকে কাকে ডাকা হবে বৈঠকে!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সভানেত্রী মৌসুম নূরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “একটি বৈঠকে রয়েছি।” পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও আর সম্ভব হয়নি। এদিকে এই ব্যাপারে মালদহ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলবেন কিনা, জানা নেই। যদি আমাকে ডাকা হয়, তবে আমার সময়ের অভিজ্ঞতা ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে বিশদে দলনেত্রীকে জানাব।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার বলেন, “এর আগে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। মমতাদিকে বলব, আপনি সরাসরি মালদা দেখুন। দলের ও সংগঠনের স্বার্থে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরব।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশায় তিনি অত্যন্ত খুশি। নেত্রী যা জানতে চাইবেন, তা তাঁকে জানানো হবে বলে জানান ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষ। কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী!

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জননেত্রী ডাকলে যাব। যা বলার সরাসরি বলব। দীর্ঘদিনের নেতা হিসেবে দলের ভালো চাই। যা বহিরাগতদের দিয়ে অসম্ভব।” তবে কারও বিরুদ্ধে তিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে কোনো অভিযোগ জানাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র।

এদিকে মাদার নেতৃত্বের পাশাপাশি যুব এবং শ্রমিক সংগঠনকে চাঙ্গা করতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উপদেশ চাওয়া হবে বলে জানান জেলা যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি এবং জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনকে কেন্দ্র করে মালদহ জেলা তৃণমূলের মধ্যে আশা, উদ্দীপনা থাকলেও এবং নেত্রীকে বলার চাহিদা জন্মালেও শেষ পর্যন্ত কারা নেত্রীর বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!