এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের দ্বন্দ্ব চরমে! “হারানোর” হুমকিতে উত্তাল ঘাসফুল শিবির

দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের দ্বন্দ্ব চরমে! “হারানোর” হুমকিতে উত্তাল ঘাসফুল শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। দলকে জয়লাভ করার জন্য তিনি আপ্রাণ পরিশ্রম করবেন, এটাই কাম্য। কিন্তু এবার সামনের নির্বাচনে দলীয় কাউন্সিলরদের হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শনিবার কুলটিতে তৃণমূলের একটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসানসোল পৌরসভার 28 টি ওয়ার্ড কুলটি বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। যেখানে 27 জন তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের সিংহভাগ কাউন্সিলরের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বিবাদ রয়েছে। এদিন তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে সেই বিবাদেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে দিলেন উজ্জ্বলবাবু। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “বারবার ডাকা হলেও কাউন্সিলর আসেন না। আর একবার ডাঅব। তারপরে আর ওদের ডাকার প্রয়োজন নেই। দলের কাউন্সিলের বৈঠকে আসবেন না, তা হবে না। তারা টিকিট পাবেন না। টিকিট পেলেই নির্দলকে সমর্থন করে তাদের হারাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর উজ্জ্বলবাবুর এই বক্তব্যেই এখন তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি তো শাসকদলের বিধায়ক! তার উচিত, দলের যিনি প্রার্থী হবেন, তাকে জয়লাভ করানোর জন্য সাহায্য করা। সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দলীয় মিটিংয়ে যেভাবে বর্তমান কাউন্সিলরদের হারানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক, তাতে তিনি দলের শৃঙ্খলাকে ভেঙে দিলেন বলেই মনে করছে একাংশ।

তবে এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়বে। দলের বিধায়ক কেন এই রকম মন্তব্য করলেন! তাহলে কি তার বিরুদ্ধে এবার কোনোরূপ ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “বিধায়ক আবেগ তাড়িত হয়ে কিছু কথা বলে থাকতে পারেন। আমরা আলোচনা করে পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নেব।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধায়কের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন কাউন্সিলর বনাম বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল, ঠিক তেমনই বিরোধী নেতারা হাতে নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল। যা আগামী দিনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে কাজে লাগিয়ে বিরোধীরা বাজিমাত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন তৃণমূল গোটা পরিস্থিতি কিভাবে আয়ত্তে আনে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!