এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজকের ডিও ও বিএলও মামলার শুনানি শেষ, কি হলো জানুন বিস্তারিত

আজকের ডিও ও বিএলও মামলার শুনানি শেষ, কি হলো জানুন বিস্তারিত


অত্যন্ত সংবেদনশীল ডিও ও বিএলও মামলায় গতকাল শুনানি না হওয়ায় আজ শুনানি হল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে। এই মামলায় মূল মামলাকারী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে আইনজীবী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন ফিরদৌস শামিম। এই মামলায় আজ প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে শুনানি চলে। ফিরদৌস সাহেব আজ শুনানির শুরুতেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘রাইট টু এডুকেশনাল অ্যাক্ট ২০০৯ এর ২৭ এর সি’ ধারা অনুযায়ী, শিক্ষকরা শিক্ষা বহির্ভূত অন্য কোন কাজ করতে পারেন না। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ‘সেন্ট মেরি’ জাজমেন্ট অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে প্রথমে ব্যাঙ্ক ও সরকারি কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়।

ফিরদৌস সাহেব আরও জানান, তারপরেও যদি প্রয়োজনীয় কর্মী অপ্রতুল থাকে তাহলে ‘বিশেষ অবস্থায়’ শিক্ষকদের এই কাজে নিযুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু, সেক্ষত্রে কিন্তু যে দিনে বা দিনগুলিতে ওই নির্বাচনী কাজ শিক্ষকদের করতে হবে তা ‘ঘোষিত ছুটি’ হতে হবে। কিন্তু ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত – বর্তমানে যে ডিও/বিএলও ডিউটি প্রাথমিক শিক্ষকদের করতে হচ্ছে – তা উপরোক্ত কোনো নিয়ম মেনেই হচ্ছে না। এছাড়াও, চাকরির নিয়ম অনুযায়ী এই ডিউটি করতে প্রাথমিক শিক্ষকরা এই ডিও ডিউটি করতে কোনোমতেই বাধ্য নন। আর তাই তিনি আদালতের কাছে স্টে অর্ডারের প্রার্থনা করেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ও রাজ্য সরকারের দুই আইনজীবি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেন এতে শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না। কিন্তু আদালত তার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কতগুলি প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়, এক্সেলেন্স আগে নাকি ইলেকশন আগে? এই সব কাজে শিক্ষকদের সময় অতিবাহিত করতে চান? আপনারা যে ৬১ দিন নিয়োগ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের – তার মধ্যে কতদিন ছুটি আছে? কত শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে? পুজোর সময় কত ছুটি নষ্ট হচ্ছে আর তার জন্য অতিরিক্ত কি ছুটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে? এর জন্য কত কম্পেন্সেশন দেওয়া হবে?

এই সব তথ্য বিস্তারিতভাবে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে না থাকায় আগামী বুধবার তা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের আইনজীবী যে স্টে অর্ডার চেয়েছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য জানায়, যে ৪২ টি লোকসভা সোনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞে এখনই স্থগিতাদেশ দিয়ে দিলে তা নির্বাচনের কাজে ব্যাপকভাবে ক্ষতি করবে। আর তাই – সেই দাবি মেনে নিয়ে বিচারপতি চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, এখনই তিনি স্টে অর্ডার দিচ্ছেন না। তবে যে যে প্রশ্ন তিনি আজ তুলেছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পেয়ে আগামী বুধবার দুপুর ১ টার সময় তিনি এই মামলার রায় দেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!