এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নদীয়ায় দলের পদক্ষেপে চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে অভিমানে এবার কি বিজেপির পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

নদীয়ায় দলের পদক্ষেপে চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে অভিমানে এবার কি বিজেপির পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দল বিরোধী কাজের অভিযোগে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। আর এবার রানাঘাট পৌরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। যে ঘটনার পর জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি নদীয়া জেলা তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এবার দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করলেন? তিনি কি এবার যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে?

সূত্রের খবর, বুধবার বেলা তিনটার সময় রানাঘাট পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। আর তারপর তার মন্তব্য নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। এদিন রানাঘাট পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মুখ খুলতে দেখা যায় পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “আমার একটা ন্যূনতম আত্মসম্মানবোধ আছে। জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার আগে শোকজ করা হয়নি। এমনকি টেলিফোনেও যোগাযোগ করা হয়নি‌। শুধুমাত্র আমার বাড়িতে একটা চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “তা আমার আত্মসম্মানে লেগেছে। আমি মনে করেছি, আমাকে আত্মসম্মানে আঘাত দেওয়ার এটা প্রথম ধাপ। কিন্তু আমি আর পরবর্তী সুযোগ দিতে চাই না। তাই আমি সসম্মানে, স্বেচ্ছায় এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। অনেকের চেয়ারের প্রতি লোভ আছে। যাদের আছে, তারা এই চেয়ারের জন্য লড়াই করে। একটা হাউসের মধ্যে একজনকে যখন অযোগ্য বলা হয়েছিল, তিনি কিন্তু সম্মানে আঘাত পেয়ে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি তাকে এই মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করেছিলেন পার্থসারথিবাবু। যার কারণে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগেই রীতিমত পদত্যাগ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করার চেষ্টা করলেন তিনি বলেই মনে করছেন একাংশ। আর এর ফলেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি তিনি এবার দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নেবেন? যেভাবে আত্মসম্মানে আঘাত হয়েছে বলে দাবি করলেন এই তৃণমূল নেতা, তাতে তার পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রীতিমত গুঞ্জন বাড়তে শুরু করেছে।

তবে পার্থসারথিবাবুর এই মন্তব্যের পর তার দলবদলের জল্পনা তৈরি হলেও এই ব্যাপারে তেমন কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে দলবদলের জল্পনায় সম্পূর্ণরূপে জল ঢেলে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “আমি এখনও দলেই আছি।” তবে বর্তমানে তিনি দলে থাকলেও, ভবিষ্যতে যে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তা তার এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার বলে দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কি করেন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!