এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চিকিৎসক সংগঠনগুলির

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চিকিৎসক সংগঠনগুলির


ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ও রীতিমতো সংকটজনক করোনার কারণে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন সারাদেশের সঙ্গে। কিন্তু তা সত্বেও দেখা যাচ্ছে, লকডাউন এর মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছিলেন বলে জানা গেছে এবং সেই ভিডিও কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় লকডাউন বাড়ানোর দিকেই ইঙ্গিত করেন বলে খবর।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠনগুলি। ওই বৈঠকে মূলত চিকিৎসক সংগঠনগুলি লকডাউন বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে করোনা চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেনা।অর্থাৎ পিপিই পড়ার বিষয়টি নিয়ে। এমনকি চিকিৎসক সংগঠনগুলির তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়, পিপিই পোশাক পড়ার ব্যাপারে একটি প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। তবে এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে আই এম এর রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘বৈঠক ভালই হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা শুনেছেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের কাজ করতে হবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি চিকিৎসক সংগঠনগুলি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর সাথেই পিপিই এবং মাস্ক যাতে ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকেই পাওয়া যায়, সে ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের করোনা সংক্রমণ এলাকা গুলিকে নজরে রাখতে স্থানীয় ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামসহ অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। অন্যদিকে ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অর্জুন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। চিকিত্‍সকদের পিপিই কিট নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।’

রাজ্যে ইতিমধ্যে করোনার আতঙ্ক প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  রাজ্যের বিভিন্ন জেলা করোনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জোনে ভাগ হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে রেড জোনে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও করোনার প্রাদুর্ভাবকে কোনমতেই আটকানো যাচ্ছেনা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনার পরিসংখ্যান নিয়ে কিছুদিন আগে থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্ক অবশ্য এখনো অব্যাহত। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতির দিকেই কড়া নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!