এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টলিপাড়ায় ‘পাল্টা’ সংগঠন খুলতে গিয়ে বড় ধাক্কা দিলীপ ঘোষের, জানুন বিস্তারিত

টলিপাড়ায় ‘পাল্টা’ সংগঠন খুলতে গিয়ে বড় ধাক্কা দিলীপ ঘোষের, জানুন বিস্তারিত


লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ১৮ টি আসন জিততেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপিতে যোগদানের জন্য ধুম পরে গেছে। ব্যতিক্রম নন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক ও কলাকূশলীরাও – আর এই ক্ষেত্রে ‘পরিবর্তনের’ সব থেকে বড় আওয়াজটা উঠেছে টালিগঞ্জ থেকেই। টলিপাড়ার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কলাকুশলীরই দাবি শাসকদলের এক হেভিওয়েট নেতা ও বিশেষত তাঁর ভাইয়ের দাপটে টলিপাড়ায় বর্তমানে কাজ করায় রীতিমত দায় হয়ে উঠেছে। ফলে, সেখানে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করতে যথা শীঘ্র সম্ভব একটি সংগঠন ময়দানে নামুক।

রাজ্য বিজেপিও এই দাবির যৌক্তিকতা বুঝে সাথে সাথেই এই নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। তৈরী হয় বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। যার শীর্ষপদে বসেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত, শঙ্কুদেব পণ্ডা, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর মত নেতারা। সংগঠনের শীর্ষপদ দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশে সঙ্ঘের রীতিমত ‘আশীর্বাদের হাত’ আছে। কিন্তু, এই সংগঠন আত্মপ্রকাশের আগেই রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে শুরু হয় বিতর্ক। গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, টলিপাড়ায় সংগঠন খুলতে আগ্রহী খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আর তাই তিনি টলিপাড়ার সংগঠনের ভার দিতে চান তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালকে। ফলে, রন্তিদেব-শঙ্কুদেবের সংগঠন না দিলীপ-অগ্নিমিত্রার সংগঠন – কোনটি আদতে বিজেপির সিলমোহর পাবে তাই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। শেষমেশ সাংবাদিক বৈঠক করে আত্মপ্রকাশ করে রন্তিদেব-শঙ্কুর বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। সকলেই যখন ভেবে নিয়েছে, যে এই ক্ষেত্রে দিলীপবাবু পিছিয়ে এলেন – তখন হঠাৎ করেই আবার অগ্নিমিত্রা পালকে সামনে রেখে ‘অরাজনৈতিক মঞ্চ’ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছিল ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন’।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অরাজনৈতিক মঞ্চ হলেও, সেই আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার কথা ছিল খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যদিও, তিনি জানিয়েছিলেন তিনি পদাধিকার বলে নয়, সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে চান ব্যক্তি দিলীপ ঘোষ হিসাবে। কিন্তু, আত্মপ্রকাশের আগের সন্ধ্যায় হঠাৎ করে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় হঠাৎ করে ঘোষণা করেন দিলীপবাবু উপস্থিত থাকলেও এই সংগঠনকে কোনো রকম মান্যতা দেবে না বিজেপি। যা নিয়ে তীব্র চাপান উতোর গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

সূত্রের খবর, টালিগঞ্জের সমস্যা খুব ‘সেনসিটিভ’ বলে মনে করছে সঙ্ঘ। আর তাই একটি শক্তপোক্ত সংগঠন করতে চাইছে সঙ্ঘ। সেই জন্যই বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের শীর্ষপদে বসানো হয়েছে রন্তিদেব সেনগুপ্ত, শঙ্কুদেব পণ্ডা, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর মত হেভিওয়েটদের – যাঁরা একদিকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, অন্যদিকে প্রত্যেকের সঙ্গেই বুদ্ধিজীবী বা বিনোদন জগতের সঙ্গে যোগ আছে। এমন কি এই সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলীতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রখ্যাত সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্তকেও রাখা হয়েছে।

তার থেকেও বড় কথা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গেরুয়া শিবিরের এক নেতার কথায়, সঙ্ঘের রাজনৈতিক মুখ বিজেপি, কিন্তু যে কোন রকম সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করে সঙ্ঘ নিজে। টালিগঞ্জের সমস্যার কথা শুনে বাংলার সঙ্ঘের নেতারা সরাসরি যোগাযোগ করেন নাগপুরে হেড কোয়ার্টারে। সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত শোনেন সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি জোশি। এমন কি তিনি নাকি এই ব্যাপারে কথা বলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডঃ অনির্বান গাঙ্গুলির সঙ্গেও। আর তারপরেই বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের নীল-নকশা তৈরী হয়।

ওই নেতার কথা অনুযায়ী, সবমিলিয়ে বলা যায়, বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ একরকম সঙ্ঘের ‘মানস পুত্র’। ফলে সেই সংগঠন আত্মপ্রকাশের পর, যদি স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি অন্য একটি সংগঠন খোলেন তাহলে আগামীদিনে নিশ্চিতভাবেই ভুল বার্তা যাবে, বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্রতর হবে। যা মোটেও ভালোভাবে নেয় নি সঙ্ঘ। আর তাই সঙ্ঘের নির্দেশেই, বঙ্গ বিজেপির ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডকে’ দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করিয়ে স্পষ্ট করা হল যে এই পদক্ষেপ কোনোমতেই কাম্য নয়। একপ্রকার ঘুরিয়ে ‘বার্তা’ দেওয়া হল রাজ্য সভাপতিকে। সবমিলিয়ে টলিপাড়ার সংগঠন নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বলেই অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!