এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলবিরোধী কাজ বরদাস্ত নয়, একাধিক হেভিওয়েটকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত! গুঞ্জন তৃণমূলে!

দলবিরোধী কাজ বরদাস্ত নয়, একাধিক হেভিওয়েটকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত! গুঞ্জন তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও, অনেক জেলা নিয়েই অসন্তুষ্ট ঘাসফুল শিবির। 2019 সালে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসকে ফিরিয়ে দিলেও, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলাতেই ভালো ফলাফল করেছে শাসক দল। তবে বেশ কিছু জেলা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই তৃণমূলের একাধিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তার আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

সেদিক থেকে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের চার জেলায় খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সেই চার জেলার একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের তালিকা তৈরি করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে টিম আইপ্যাক। আর সেই তালিকা মোতাবেক এবার যে সমস্ত নেতারা বিধানসভা নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করেননি, তাদেরকে এখন থেকেই ছাটাই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ঘাসফুল শিবির। স্বাভাবিকভাবেই সেই তালিকাতে কোন কোন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, এখন তা নিয়েই গুঞ্জন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং জেলায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই আইপ্যাকের পক্ষ থেকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই চার জেলায় ভোটের কাজে ঠিক মত সামিল হননি সমস্ত স্তরের নেতা নেত্রীরা। আর সেই কারণেই এই চার জেলায় ভালো ফলাফল হয়নি। পাশাপাশি এই চার জেলাতে অনেক দুর্নীতি পরায়ন নেতাদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে না পারলে এবং দলীয় সংগঠনে পরিবর্তন নিয়ে আসতে না পারলে আগামী দিনে এই চার জেলাতে ফলাফল করা সম্ভব হবে না।

স্বাভাবিকভাবেই গোপন রিপোর্ট পেয়ে এবার এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই জেলার একাধিক নেতা-নেত্রীকে বদল করে সেখানে নতুন মুখ আনতে চলেছে ঘাসফুল শিবির বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কাদের কাদের ডানা ছাটা হবে এবং কারা কারা নতুন দায়িত্বে আসবেন, তা নিয়ে কৌতুহল ক্রমশ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বাংলা দখল করার পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টার্গেট দিল্লি দখল। সেই লক্ষ্য নিয়েই সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চাইছেন তিনি। বিভিন্ন জেলা ধরে ধরে কাকে দায়িত্ব দিলে ভালো হয়, তা নিয়ে গোপন রিপোর্ট নিতেও দেখা যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের সিংহভাগ জেলাতে তৃণমূলের সংগঠনে ব্যাপক বদল আনা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আর তার মাঝেই উত্তরবঙ্গের চার জেলা জেলা নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়া রিপোর্ট যে সেই জেলার নেতা, নেত্রীদের চিন্তা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চার জেলার ক্ষেত্রে ঠিক কি কড়া সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!