প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র বিরোধী বলে পরিচিত হলেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। জানা যায়, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধিতার কারণে একাধিকবার বিধায়ক হয়েও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তিনি। তবে, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই এবার তাঁকে রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নন্দীগ্রামে অধিকারী পরিবারের প্রভাব দূর করতে তাঁকে বিশেষভাবে কাজে লাগাবার সিদ্ধান্ত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু এবার মন্ত্রী শিউলি সাহার মা বনশ্রী খাঁড়ার বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছে, জমা পড়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। ঘটনাটি যথেষ্ট বিব্রত করেছে মন্ত্রী শিউলি সাহাকে। ঘটনার প্রকৃত সত্যের অনুসন্ধান করছেন তিনি।

মন্ত্রী শিউলি সাহা সহ তাঁর পরিবারের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের দীর্ঘকালের বিরোধ রয়েছে। জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাঁর পরিবার। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সভাপতি ছিলেন তাঁর মা। পরবর্তীতে নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন বনশ্রী খাঁড়া। তবে, সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে দলের পক্ষ থেকে। বনশ্রী খাঁড়া ছাড়াও নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মত্‍স্য কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশ দাস অধিকারী, কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সানোয়ার শাহের নামেও দল বিরোধী কাজ-কর্মের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে শিউলি সাহার মা বনশ্রী খাঁড়া ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। এই অভিযোগ যথেষ্ট বিব্রত করেছে পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহাকে। যে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে তাদের দীর্ঘকালের বিরোধ। সেই পরিবারকে সুবিধা করে দেবেন তাঁর মা। এমনটা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য সামনে আসুক, এমনটাই চাইছেন তিনি।

এদিকে ভোটের সময় বনশ্রী খাঁড়া নন্দীগ্রাম ছেড়ে কেশপুরে শিউলি সাহার হয়ে প্রচার করেছিলেন। তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের রাজনীতি নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না তিনি। সময় এলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে। অন্যদিকে তাঁর মা বনশ্রী খাঁড়া এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিডিও অফিসে গিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন।

এবার এর জল কতদূর গড়ায়? সে দিকে লক্ষ্য থাকবে রাজনৈতিক মহলের। তবে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যাকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাজে লাগাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যের নামেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ ওঠায়, যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।