এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলবদলু ‘গদ্দারদের’ নিয়ে ধীরে চলো নীতি তৃণমূলে! ক্ষোভ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে নীচুতলায়

দলবদলু ‘গদ্দারদের’ নিয়ে ধীরে চলো নীতি তৃণমূলে! ক্ষোভ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে নীচুতলায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূল আশাতীত ফল লাভ করেছিল। জেলা পরিষদের ১৮ টি আসনের মধ্যে ১৭ টি আসনই তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছিল, বিজেপির দখলে একটিমাত্র আসন ছিল। তবে, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে পরিস্থিতির কিছুটা বদল ঘটে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের তিন সদস্য মোহন শর্মা, পদ্মা রায়, পাশাং ডিকি শেরপা বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদান করা এই তিন সদস্য কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপর থেকেই এই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে জেলা পরিষদের সদস্যপদ খারিজ করার দাবি উঠতে থাকে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

তবে, জেলা পরিষদের এই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গেলে দলের রাজ্য নেতৃত্তের অনুমোদন প্রয়োজন। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জেলা পরিষদের এই তিন সদস্যর সদস্যপদ খারিজ করার অনুমোদন চাওয়া হয়। তবে, জেলা তৃণমূলের নিচুতলার অভিযোগ, দলত্যাগী এই তিন সদস্যের সদস্যপদ খারিজ করার প্রক্রিয়াতে অযথা বিলম্ব করা হচ্ছে। যা থেকে কালচিনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া এই তিনজন জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন? কেন তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করার উদ্যোগ নিচ্ছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর পাশাং লামা জানিয়েছেন, তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের ভোটে জয়লাভ করে বিজেপিতে চলে গেছেন এই তিন সদস্য। কিন্তু, এখনো এদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে জেলা নেতৃত্ব কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ফলে দলের কর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে। এই তিন জেলা পরিষদ সদস্যর সদস্যপদ খারিজ করার ব্যাপারে জেলা নেতৃত্বর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে কালচিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য গণেশ মাহালি জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ। জেলা পরিষদের এই তিন সদস্য দলত্যাগ বিরোধী আইনকে উপেক্ষা করে নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে বিশেষ চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন এঁরা। দ্রুত এই তিনজন জেলা পরিষদের সদস্যদের সদস্যপদ খারিজ করার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দলত্যাগী এই তিন জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিলম্ব থেকে দলের নিচু তলায় ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। সে ক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে উপরতলায়। তবে, এ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর বক্তব্য, জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, এটা ঠিক নয়। কারন , জেলা নেতৃত্ব এ বিষয়ে বসে নেই। বিজেপিতে চলে যাওয়া এই তিন সদস্যের সদস্যপদ খারিজ করার অনুমোদন চেয়ে আলোচনা চলছে দলের রাজ্য কমিটির সঙ্গে।

তবে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে যে দাবিই করুন না কেন, বিজেপিতে চলে যাওয়া এই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, দলের নিচু তলায় ক্রমশ ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নিতে, কেন এত বিলম্ব হচ্ছে? সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্তরে। যা বাড়িয়ে দিচ্ছে দলের অস্বস্তি যথেষ্টভাবে। এমনিতেই বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে এই জেলায় বারবার অন্তর্দ্বন্দ্ব, মতান্তর প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এবার, এই বিষয় নিয়ে কতদূর জলঘোলা হয়? সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!