এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দল ছাড়া নিয়ে বড়োসড় মন্তব্য বৈশালীর, জেনে নিন কি বললেন তিনি

দল ছাড়া নিয়ে বড়োসড় মন্তব্য বৈশালীর, জেনে নিন কি বললেন তিনি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, তৃণমূল শিবিরের ভাঙন ততই বেড়ে চলেছে। বেসুরো বিধায়ক, নেতাদের সংখ্যা কিন্তু প্রায় আকাশছোঁয়া হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরে। যা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল দুর্গে বড়োসড়ো অস্বস্তি তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতদিন পর্যন্ত রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে এসেছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এবার শাসকদলের অভ্যন্তর থেকেই যেভাবে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে তাতে কিন্তু তৃণমূলের ভিত ক্রমশ নড়বড়ে হয়ে উঠছে বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। স্পষ্টত বেসুরো হয়ে উঠেছেন এবার ডালমিয়া কন্যা বৈশালী। আশংকা তীব্র হচ্ছে বৈশালীর দল ছাড়ার।

গতকালই মন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। আরেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। আর এবার দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। যথারীতি বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এভাবে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করায় বিপাকে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা দলনেত্রী কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন দল ছেড়ে যারা যাবার তাঁরা যেতে পারেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূলের গড়ের ইঁট খসে পরছে তা দলকে যে যথেষ্ট বিপাকে ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য।

খুব স্বাভাবিকভাবেই বৈশালী ডালমিয়া দলের বিরুদ্ধে কথা বলায় বালি অঞ্চলে তৃণমূলের অন্দরের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল। এদিন সংবাদমাধ্যমে বৈশালী ডালমিয়া জানিয়েছেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের বেশকিছু প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ক্রমাগত দুর্নীতি চালাচ্ছেন এলাকায়। বৈশালী দাবি করেছেন, দলের বেশকিছু প্রাক্তন কাউন্সিলর এলাকায় বেআইনি বাড়ি, ফ্ল্যাট, আবাসন নির্মাণের নামে তোলাবাজি চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পুরসভার প্রস্তাবিত আবাসনের প্ল্যান করে দিচ্ছে বেশকিছু প্রাক্তন কাউন্সিলর। ফলস্বরূপ, সরকারের ঘরে যে টাকা আসার কথা তা ঢুকছে দুর্নীতিবাজ প্রাক্তন কাউন্সিলরদের পকেটে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের সাথে সাথেই এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈশালী। বৈশালী এদিন সংবাদ মাধ্যমে আরও জানান, লিলুয়ায় রাস্তা তৈরি করার জন্য সরকার থেকে 5 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল লকডাউন এর আগে। রাস্তা তৈরি হওয়ার পরে লকডাউনের সেই রাস্তা প্রায় অব্যবহৃত থেকে যায়। কিন্তু নিউ নর্মাল চলার কিছুদিবের মধ্যেই সেই রাস্তা ভেঙে যায়। আর তাতেই রাস্তা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বৈশালী ডালমিয়া। বৈশালী জানান তিনি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দলের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন।

আর এরপরই বৈশালী বিস্ফোরক হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বৈশালী অভিযোগ করেন, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও দলের শীর্ষ নেত্রী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এখন প্রশ্ন উঠছে, বৈশালীও কি তাহলে শুভেন্দু বা অন্যান্যদের মতন দল ছাড়তে চলেছেন? তবে সেই নিয়ে বৈশালী ডালমিয়া আস্বাত করেছেন, তিনি দল ছাড়ছেন না বটে কিন্তু দলে থেকে তিনি প্রতিবাদ করাও ছাড়বেন না। অর্থাৎ বৈশালী ডালমিয়া পরিষ্কার করে দিয়েছেন, দলে থেকেও তিনি বেসুরোই বাজবেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৈশালী ডালমিয়া আপাতত দল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে কতদিন টিকে থাকতে পারবেন, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে। অন্যদিকে দলে থেকেও দল বিরোধী মন্তব্য করার কারণে তাঁকে যেকোনো সময় দলীয় শোকজের মুখোমুখিও হয়ত হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে বৈশাখীর দল ছাড়ার ব্যাপারটি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। তবে সবটাই বলবে সময়। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির যে বড়োসড়ো বিপর্যয়ের মুখে সে কথা চোখ বন্ধ করে বলা যায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!