প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল নাটকীয় ভাবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ও দলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্যসভায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে, এ কারণেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর সংবাদমাধ্যমের দলের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ করতে দেখা গেল দীনেশ ত্রিবেদীকে। এমনকি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দিলেন তিনি।

গতকাল রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছিলেন যে, একটি দলে থাকার কারণে, সে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু, এতে এখন তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাঁর অন্তরাত্মা তাঁকে বলছে যে, এখানে চুপচাপ বসে থাকার চেয়ে পদত্যাগ করে বাংলার হয়ে কাজ করা ভালো। এজন্য গতকালই তিনি দল ছেড়ে দেন। এরপর অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।

সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এখন কর্পোরেট পেশাদারের হাতে চলে গিয়েছে। কার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন? যারা রাজনীতির অ, আ ক, খ জানেন না, তারাই এখন দলের নেতা হয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, কর্পোরেট পেশাদার বলতে এখানে তৃণমূলের ভোটকুশলী পিকেকে নির্দেশ করে থাকতে পারেন দীনেশ ত্রিবেদী। অন্যদিকে অনভিজ্ঞ নেতা বলতে তিনি নির্দেশ করে থাকতে পারেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারবার দলের এই ভাঙ্গনে পিকের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ইতিপূর্বে দলের একাধিক হেভিওয়েট শাসক দল তৃণমূলে ভোটেকুশলী পিকের বাড়বাড়ন্তকে মেনে নিতে পারেননি। বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, মিহির গোস্বামী, শুভেন্দু অধিকারী পিকের বাড়বাড়ন্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তেমনি একাধিক হেভিওয়েট দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমাগত উত্থানকেও মেনে নিতে পারেননি। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার এমনই অভিযোগ আনতে দেখা গেল দীনেশ ত্রিবেদীকে।

গতকাল দল ছেড়ে দেবার পর টুইটারে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ফেললেন দীনেশ ত্রিবেদী। আগে তাঁর ট্যুইটার হেডারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ছবি দেখা যেত। সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি। দীনেশ ত্রিবেদী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই তিনি যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু এখন আর দল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই।