এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দল ছাড়তেই দীনেশ ত্রিবেদী এবার ‘বিশ্বাসঘাতক’ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর মন্তব্যে ফের বিতর্কের ঝড়!

দল ছাড়তেই দীনেশ ত্রিবেদী এবার ‘বিশ্বাসঘাতক’ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর মন্তব্যে ফের বিতর্কের ঝড়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমাগত ভাঙ্গনের বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে। দলের একের পর এক হেভিওয়েট দল ছাড়তে শুরু করেছেন। আর দল ছেড়ে দেওয়ার পরেই বিশ্বাসঘাতক, সুবিধাবাদী বা মীরজাফর তকমায় কটাক্ষ করা হচ্ছে তাঁদের। গতকাল নাটকীয় ভাবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দল ছেড়ে দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। আর দল ছাড়তেই তৃণমূল নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।

গতকাল বলা যেতে পারে চূড়ান্ত সাসপেন্স রেখেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দল ছেড়ে দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, রাজ্যের সর্বত্র হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে, কিন্তু তাঁরা কিছুই বলতে পারছেন না। তিনি রবীন্দ্রনাথ, নেতাজীর ভূমি থেকে এসেছেন। তাই এসব আর তিনি দেখতে পারছেন না। তিনি একটি দলে আছেন, তাই দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তিনি জানালেন যে, এর চেয়ে ভালো ইস্তফা দিয়ে বাংলায় গিয়ে কাজ করা। তিনি আরও জানালেন যে, তিনি তাঁর অন্তরের ডাক শুনতে পেয়েছেন। সকলকেই কখনো না কখনো নিজের অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দল ছাড়ার পরই তাঁকে একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। এবার তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বিশ্বাসঘাতক বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি তাঁকে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শুধুমাত্র নোবেল পুরস্কার দেওয়াটাই বাকি রেখেছিলেন। তিনি জানান যে, গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। কিন্তু, এরপরও তাঁকে দলের সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, দীনেশ ত্রিবেদীর মতো কয়েক জন দল ছেড়ে দিলে তাতে তৃণমূলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই জানালেন মদন মিত্র।

অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, চারদিকে হর্স ট্রেডিং শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে যা হয়েছে। তা এখন পশ্চিমবঙ্গতেও হচ্ছে। দীনেশ ত্রিবেদী তাই হয়েছেন কিনা কে জানে? প্রশ্ন রাখলেন তিনি। আবার দল ও পদ ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। অর্থাৎ, “শেষ হয়ে না হইলো শেষ” তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রাজনীতিমহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!