এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দল বাঁচাতে কি এবার পিকের উল্টোপথে হাঁটা শুরু করবেন স্বয়ং মমতা? একুশের আগে তীব্র হচ্ছে জল্পনা

দল বাঁচাতে কি এবার পিকের উল্টোপথে হাঁটা শুরু করবেন স্বয়ং মমতা? একুশের আগে তীব্র হচ্ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তৃণমূলের সমস্যা তীব্র হতে শুরু করেছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রশান্ত কিশোর একের পর এক নেতার ডানা ছাটার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করেছে। সেই মত করেই বিভিন্ন জেলায় প্রশান্ত কিশোরের টিমের সুপারিশ মত সেই জেলার নেতৃত্বে বদল এনেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এরপর থেকেই বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল শাসকদলের অন্দরমহলে। বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ক এমনকি মন্ত্রীরাও নীরবে নিভৃতে নিজের মত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও, প্রশান্ত কিশোরের টিমের এই ধরনের সমীক্ষায় যে দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ, তা তাদের আচরনেই কার্যত প্রমাণিত। ইতিমধ্যেই কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত ঠিকাদারি সংস্থাকে দিয়ে কোনভাবেই সাফল্য পাওয়া যায় না বলে দাবি করেছেন। আর তাই 2021 এর আগে দলকে সাফল্য পাওয়াতে এবার কি সেই প্রশান্ত কিশোরের উল্টোপথে হাঁটবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে দলের অন্দরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বস্তুত, বর্তমানে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। অরাজনৈতিক মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য এবং দল ও সরকারের থেকে তার দূরত্ব আগামী দিনে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই দাবি করছেন, শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন। যদিও বা এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। তৃণমূলের আড়ালে আবডালে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মত কেউ কেউ নেতৃত্বের জায়গা পাওয়াতে অনেকেই ক্ষুব্ধ।

তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী মুখ না খুললেও, প্রশান্ত কিশোরের বেশি পরিমাণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ যে তিনি খুব একটা ভালো চোখে নেননি এবং তার কারণেই যে তার দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আর শুভেন্দু অধিকারী যদি দলবদল করেন, তাহলে তার পথ অনুসরণ করে দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রচুর নেতাকর্মী বিরোধী দলে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই প্রশান্ত কিশোরকে কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নিজের মত করে সংগঠনকে সাজাতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল শেষ কথা বলেন। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীরা তার সিদ্ধান্তের কথা মেনে নিলেও, বাইরে থেকে আসা প্রশান্ত কিশোরের অনেক সিদ্ধান্তকেই মেনে নিতে পারছে না। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃতীয়বারের জন্য যদি ক্ষমতা দখল করতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশান্ত কিশোরকে কিছুটা পেছনে রেখে নিজেকেই সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে বলে দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে দলের বিদ্রোহী নেতা কর্মীদের মান ভঞ্জন করতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের দিকেই নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের। কেননা প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় বেশকিছু নেতাকর্মীদের ডানা ছাটতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে সেই সমস্ত নেতাকর্মীরা বিদ্রোহ করতে শুরু করেন। কিছুদিন আগেই দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিল গোস্বামী।

অন্যদিকে প্রশান্তি কিশোরের টিমের নাম না করে প্রশ্ন তুলে আগামী দিনে নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত। আর সব থেকে বেশি যাকে নিয়ে জল্পনা চলছে, সেই শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের জন্য তার বাড়িতে প্রশান্ত কিশোর গেলেও, অবস্থার কতটা উন্নতি হয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে শেষ কথা বলেন, তাকে এবার ময়দানে নামতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে নেমে কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে নেতাদের মান ভঞ্জন করলে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর যদি এখনও পর্যন্ত নিজের মত করে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন, তাহলে তৃণমূলের অনেকেই আরও বেশি করে বিদ্রোহ দেখাতে শুরু করবেন। যার ফলে 2021 এর বৈতরণী পার হওয়া তৃনমূলের পক্ষে খুব একটা সহজলভ্য হবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নতুন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!