এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দল ক্ষমতা থেকে সরে গেলে হেভিওয়েট নেতাদের কি হাল হবে ‘ফাঁস’ করে দিলেন প্রভাশালী তৃণমূল নেতা

দল ক্ষমতা থেকে সরে গেলে হেভিওয়েট নেতাদের কি হাল হবে ‘ফাঁস’ করে দিলেন প্রভাশালী তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন শাসকদল তৃণমূল কাছে প্রেস্টিজিয়াস ফাইট হতে চলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই যে অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে সে বিষয় অস্বীকার করার উপায় নেই বললেই চলে। কারন নিজের যথেষ্ট প্রভাব বৃদ্ধি করতে পেরেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও ভোট কুশলী পিকে। কিন্তু দলের মধ্যে বারবার গোষ্ঠী কোন্দল দেখা দিচ্ছে। কোচবিহার জেলা, হুগলী জেলার পর এবার গোষ্ঠী কোন্দল দেখা দিল বাঁকুড়া জেলায়। যেখানে জেলা যুব সহ-সভাপতি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এক সভা মঞ্চ থেকে। সেই সঙ্গে দলকে দিলেন কড়া বার্তা।

সম্প্রতি বাঁকুড়ার রানিবাঁধে জাতীয় সম্পদের বেসরকারিকরণ, কেন্দ্রীয় কৃষি বিল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, উত্তরপ্রদেশের হাথরসের গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বাঁকুড়া জেলায় যুব তৃণমূল মহিলা ও ব্লক মহিলা তৃণমূল এর উদ্যোগে এক বিরাট মিছিল ও সভার আয়োজন করা হয়। যে সভায় বক্তব্য রাখেন বাঁকুড়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিদ্যুত্‍ দাস। এই সভা থেকে তিনি জানালেন, ” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মানে সামনে কঠিন লড়াই। এই লড়াইয়ের আগে যারা দলবাজি লবিবাজি করছে দল ক্ষমতা থেকে সরে গেলে ওই চেয়ার থাকবে না।”

বাঁকুড়া জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ দাস এরপর বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন যে, তিনি এই কর্মসূচিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিলেন। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তিনি শাখা সংগঠন এর প্রত্যেক নেতৃত্বকে এই কর্মসূচিতে যোগদানে নিষেধ করেছিলেন।

যুব তৃণমূল নেতা বিদ্যুৎ দাস আরও জানান যে, তিনি রাজ্য নেতৃত্তের অনুমতি নিয়েই এই মিছিল ও কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিলেন। সমস্ত মানুষকে যোগদানের জন্য তিনি চিঠিও দিয়েছিলেন। জেলা সভাপতি সম্পর্কে তার বক্তব্য, ” জেলা সভাপতি কিসে সন্তুষ্ট জানিনা আর পরোয়া করিনা। মানুষ আমার সাথে এবং পাশে আছে।” এই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জ্যোত্‍স্না মান্ডি, দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু প্রমুখরা। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, এই সভায় সকলকেই উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে যখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে। সে সময় দলের একাধিক নেতা কিছুদিন ধরেই দুর্নীতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে দলের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। যার ফলে বাড়ছে গোষ্ঠীকোন্দল, বিপাকে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো। তবে জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এ বিষয়টি নিয়ে তিনি জানবার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ” এটা কাটমানির ভাগাভাগি। জঙ্গলমহল থেকে তারা যে তোলা আদায় করে সেটা নিয়েই এই সমস্যা।”

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূল দলকে বারবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিলেও দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দলের বিরুদ্ধে। এর ফলে বাড়ছে গোষ্ঠী কোন্দল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাঁকুড়ায় যুব তৃণমূল সহ সভাপতি জেলা সভাপতির নামে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে এনে ফেললেন। সেইসঙ্গে আগামী বিধানসভা লড়াই যে যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে শাসক দলের পক্ষে তাও তাঁর বক্তব্যে পরিস্কার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে দলের মধ্যে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাও তিনি স্বীকার করে নিলেন তাঁর বক্তব্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!