এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দল-সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ বিধায়কের, দলত্যাগ প্রাক্তন চেয়ারম্যানের, তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল?

দল-সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ বিধায়কের, দলত্যাগ প্রাক্তন চেয়ারম্যানের, তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনকে দিন বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে শাসকদলের অন্দরমহলে। একের পর এক বিধায়ক প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্যই ময়নাগুড়ি শহর পৌরসভা হয়ে ওঠেনি বলে সরব হলেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। যেখানে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের টিমের কাজকর্মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরবঙ্গের এক বিধায়ক মিহির গোস্বামীর পর এবার যেভাবে অনন্তদেব অধিকারী দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে সরব হলেন, তাতে রীতিমত চিন্তা বাড়ছে তৃনমূল কংগ্রেসের। এদিকে এদিনই তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা যেভাবে দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন এবং কেউ কেউ দলত্যাগ পর্যন্ত করে ফেলছেন, তাতে লোকসভার মতই আগামী বিধানসভায় তৃণমূলের অবস্থা উত্তরবঙ্গে শোচনীয় হতে পারে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কেন এভাবে দলের বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী ময়নাগুড়িকে পৌরসভা না করার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করলেন? বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের বিধায়ক এইভাবে রাজ্য সরকারকে দায়ী করায় বিরোধীরা তো নতুন করে অস্ত্র পেয়ে গেল! এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি তৃণমূলের যুগ্ম-সম্পাদক সমীরন চৌধুরী বলেন, “উনি বামফ্রন্টে ছিলেন। এখন তৃণমূলে এসেছেন। ওনার কথায় মনে হচ্ছে অন্য কোথাও পা বাড়াবেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী করছি, ময়নাগুড়িকে পৌরসভা করা হোক। অথচ বিধায়ক এই নিয়ে কিছুই করতে পারেনি। আমরা চাই, এবার নতুন করে দল কাউকে টিকিট দিক।”

এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, “ময়নাগুড়ি যে পৌরসভা হয়নি, তার দায় আমার নয়। রাজ্য সরকার ব্যর্থ।” কিন্তু তিনি যে দলের বিধায়ক, সেই দলই তো রাজ্য সরকারে রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি যেভাবে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুললেন, তাতে তৃণমূলের ফাটল আরও চওড়া হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে কোথায় কি করতে হবে তা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবেই জানেন। অনন্তবাবু কি বলেছেন জানি না, তবে তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।” তবে রবিবাবু যে কথাই বলুন না কেন, গোটা পরিস্থিতি বিচার করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরবঙ্গে এখন তৃণমূলের ফাটল ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। যেভাবে এই বিধায়ক এবার পৌরসভা না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করলেন, তাতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে অস্বস্তিতে পড়ল। শুধু তাই নয়, বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য আগামী দিনে তার দলত্যাগের মত ঘটনাকেও ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত এদিন দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। তবে আশিস দত্ত কি বিজেপিতে যাওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মিহির গোস্বামী আমার বন্ধু। মিহিরবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে।” অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা এখন দলত্যাগ করার পর কার্যত জোট বেঁধে তারা কি করবেন, তার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছেন বলেই খবর।

এদিকে আশিস দত্তর দলত্যাগ নিয়ে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “দল ছেড়ে চলে যাক, এটা চাইনি। তাই আশিসবাবুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। দলের জেলা সভাপতির ওর সঙ্গে কথা বলা উচিত।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় আছি। তাই আশিসবাবু সংবাদমাধ্যমে ঠিক কি বলেছেন, তা না জেনে কোনো মন্তব্য করব না। কলকাতা থেকে ফিরে তার সঙ্গে কথা বলব।”

তবে উত্তরবঙ্গে যত দিন যাচ্ছে, ততই তৃণমূলের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে। যেভাবে দলে ভাঙন ধরেছে, তাতে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিভাবে উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করবে, সেটাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের সবস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!