এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলত্যাগীরা কিভাবে ফিরবেন তৃণমূলে? উপায় বাতলে দিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট জেলা সভাপতি

দলত্যাগীরা কিভাবে ফিরবেন তৃণমূলে? উপায় বাতলে দিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট জেলা সভাপতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে, এখন তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিজেপিতে চলে যাওয়া একাধিক নেতাকর্মী তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকে তৃণমূলে ফেরার চেষ্টায় আছেন। একাধিক জেলার মত মুর্শিদাবাদেও এমন ঘটনা ঘটছে। তবে, মুর্শিদাবাদে শুধু বিজেপি থেকে নয়, কংগ্রেস থেকেও বেশ কিছু নেতাকর্মী তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দলত্যাগীদের যাতে দলে নেওয়া না হয়, তার আবেদন জানিয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগীদের কিভাবে দলে যোগদান করানো যাবে? তার উপায় বাতলে দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান।

নির্বাচনের আগে এই জেলায় বহু নেতা-কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি ও কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। জেলার নেতাদের এই তালিকায় ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধীপতি মোশাররফ হোসেন মন্ডল, সহকারি সভাধীপতি বৈদ্যনাথ দাস, ও বহু কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর আবার তৃণমূলে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। অনেকে আবার তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। এবার, এদের কিভাবে দলে ফেরানো যায়? সে সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্য রাখলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল এ প্রসঙ্গে আবু তাহের খান জানিয়েছেন যে, দলের দুঃসময়ে যারা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তৃণমূল সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিয়ে নিজেদের স্বার্থের কথা যারা ভেবেছিলেন নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের পর তাঁরা অনেকেই নানাভাবে দলে ফিরে আসার চেষ্টায় আছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বেশকিছু পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা। তিনি তাঁদের দলে ফিরতে নিষেধ করছেন না। কিন্তু যারা দল বিরোধী কাজ করেছিলেন, প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছেন, অথবা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকার যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে, তার জন্য চেষ্টা করেছেন।

তাঁদের তিনি স্পষ্ট জানাতে চান যে, আগে তাঁরা ক্ষমা চেয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানান। জেলা নেতৃত্ব তাদের সেই আবেদন পত্র সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাবেন। তাঁদের অনুমতি পাওয়া গেলে, দলত্যাগিদের মধ্যে কাদের দলে নেয়া হবে? তা জানানো হলে, তবেই তাঁদের দলে যোগদান করানো হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে কতটা কঠোর সমালোচনা করেছেন? সেই হিসেবে বিচার করে এই যোগদান করানো হবে। তাই অনেক বড় বড় নেতাও বাদ পড়ে যেতে পারেন।

আবু তাহের খান আরো জানিয়েছেন যে, কোন তৃণমূল নেতার কাছে কেউ যদি আবেদন করেন, তাহলে সেই আবেদন জেলা নেতৃত্তের কাছে পাঠিয়ে দিতে। জেলা নেতৃত্ব সেই আবেদন রাজ্য নেতৃত্তের কাছে পাঠাবে। দলের অনুমতি ছাড়া কেউ যদি কাউকে দলে যোগদান করান, তাহলে সেই যোগদানে অনুমতি দেবেনা দল। যা গর্হিত কাজ বলে গণ্য করা হবে। প্রসঙ্গত, তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী মূলত বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলের ফিরে আসার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ভোটের সময় যারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে বিষেদাগার করেছেন, তাদের পুনরায় দলে না নেবার আর্জি জানিয়েছেন অনেকেই। এবার দলের রাজ্য নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত নেন? সেদিকে দৃষ্টি রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!