এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দোলাচলের মুখে দাঁড়ানো মালদা জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ তৃণমূলের

দোলাচলের মুখে দাঁড়ানো মালদা জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মালদা জেলা পরিষদ নিয়ে ব্যাপক দোলাচল তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, মালদা জেলা পরিষদ এখনো তৃণমূলের হাতেই রয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন, এই জেলা পরিষদ বিজেপির হাতে চলে গেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৮ টি আসন বিশিষ্ট মালদা জেলা পরিষদে তৃণমূল ৩০ টি, বিজেপি ৬ টি, কংগ্রেস ২ টি আসন লাভ করেছিল। তৃণমূলের একটি আসন শূন্য হয়েছে। তাই, এখন এই জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা হল ৩৭ জন। আবার ভোটের আগে তৃণমূলের একাধিক সদস্য যোগদান করেছেন বিজেপিতে। বিজেপিতে যোগদান করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় মন্ডল ও প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মু।

তবে, সম্প্রতি সরলা মুর্মু সহ একাধিক ব্যক্তি আবার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও, এখন তাঁদের তৃণমূলে ফেরানো হবে কিনা? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ ই জুনের পর অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এ প্ৰসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর জানালেন যে, ৩৭ টি আসন বিশিষ্ট জেলা পরিষদের ম্যাজিক ফিগার হলো ১৯ । সম্প্রতি তৃণমূলের হাতে রয়েছেন ২৩ থেকে ২৪ জন সদস্য। তবে, এখন বিধিনিষেধ আরোপ থাকার কারণে এখনই তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন না। বিধিনিষেধ উঠে যাবার পর এ বিষয়ে তাঁরা চিন্তাভাবনা করবেন। আগামী ১৫ ই জুনের পর অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা সভাধিপতির বিরুদ্ধে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসুম নূর জানালেন, এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। তিনি আশা করছেন মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতেই থাকবে। আবার, বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বহু সদস্য বিজেপিতে যোগদান করায় জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে গেছে। এ প্রসঙ্গে মৌসুম নূর জানালেন, বিজেপি এমন একটা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। অনাস্থা প্রস্তাব আনলে দেখা যাবে, প্রকৃত অবস্থা। তিনি জানালেন, যে সময়ে গৌড় মন্ডল বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, সে সময় থেকেই তাঁরা জানিয়ে এসেছেন যে ২২, ২৩ জন সদস্য তৃণমূলের পক্ষে রয়েছেন। তাই বিজেপির প্রচার এক্ষেত্রে ভিত্তিহীন।

বিজেপিতে চলে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের প্রসঙ্গে মৌসুম নূর জানিয়েছেন, যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। অনেকে তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যারা দলকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, সেই সমস্ত গদ্দারদের দলে ফেরাতে গেলে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে গৌড় মন্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর কাকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করতে চায় তৃনমূল? সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি মৌসম বেনজির নূর।

এইভাবেই দোলাচলে থাকা মালদহ জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে আনতে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সম্প্রতি, কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকার কারণে কিছুদিন অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত। ১৫ ই জুনের পরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা আছে তৃণমূলের। অনাস্থার পর এই জেলা পরিষদ কার দখলে যায়? সেদিকে দৃষ্টি থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!