এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলবদলুদের গ্রহণযোগ্যতা কতটা! তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরেই চর্চা শুরু!

দলবদলুদের গ্রহণযোগ্যতা কতটা! তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরেই চর্চা শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে সুযোগ বুঝে জাম্প করলেই নাকি সাফল্য পাওয়া যায়! অনেকেই মজা ঠাট্টা করে একথা বলে থাকেন। আর এই সুযোগ বুঝে জাম্প করার অর্থ হচ্ছে, যখন যে দল ক্ষমতায় আসবে, তখন তার দিকে চলে যাও। সামনেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে এই জাম্প করার রাজনীতি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বাংলায়। তৃণমূল থেকে বিজেপি, প্রত্যেকেই একে অপরের ঘর ভাঙতে তৎপর হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের ঘরে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মত শীর্ষ নেতাকে নিজেদের দলে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর সহধর্মীনি সুজাতা মন্ডলকে নিজেদের দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর যেভাবে নেতারা আজ এদল এবং কাল ওদল করতে শুরু করেছেন, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দলবদলু নেতাদের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মানুষের মনে এই দলবদল সম্পর্কে কী প্রভাব যেতে শুরু করেছে! যেখানে নেতারা ঠিক মত নিজেদের দলে থাকতে পারছেন না, সেখানে তাদের প্রতিশ্রুতি তারা নির্বাচনে দেওয়ার পরে তা আদৌ পালন করবেন কিনা, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ।

অনেকে বলছেন, বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে যে দল যত বেশি নেতা অন্য দল থেকে ভাঙিয়ে আনতে পারবে, সেই দল তত বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মনে এই দলবদল সম্পর্কে কি প্রভাব পড়ছে, তা হয়ত বিন্দুমাত্র ভাবছে না কোনো রাজনৈতিক দল। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। আর এই সমস্যার ফলে তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এখন থেকেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দলবদলের প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসা উচিত বলে দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, নেতারা ভাবছেন, যে দল থেকে যত প্রভাবশালী নেতাকে তাদের দলে আনা যায়, তাতেই তাদের দল ভালো জায়গায় পৌঁছাবে। হয়ত বা এটা অত্যন্ত বাস্তব। কেননা কর্মী থেকে শুরু করে নেতা তো আর গাছ থেকে পড়বে না! কিন্তু তার সাথে সাথে এটাও বাস্তব যে, আজ এ দল এবং কাল ও দল যদি করতে থাকেন নেতা-নেত্রীরা, তাহলে মানুষের মনে সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে কি বার্তা যাবে! যেখানে নেতারা নিজেদের দলের প্রতিই দায়বদ্ধ নয়, সেখানে তারা কিভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে, এখন সেটাই অনেকের মনে প্রশ্ন হিসেবে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।

আর এই সমস্ত সমীকরণের উপর নির্ভর করে বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিকে দলবদলের পালাকে একাংশ ভালোভাবে নিলেও অনেকেই তা মেনে নিতে পারছেন না। তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই দলবদলকারী নেতাদের সম্পর্কে কিছুটা হলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু রাজনীতি সদা পরিবর্তনশীল এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র এখনও বিরাজমান। তাই যারা দলবদল করছেন, তারা যদি মানুষের কাছে তাদের দলবদলের কারণ সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে সকলের মনেই ধারণা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে জনতা জনার্দনের সঙ্গে সেই সমস্ত নেতাদের সংযোগ স্থাপন সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে দলবদল নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে যে তরজার সৃষ্টি হোক না কেন, এর সমর্থক থেকে শুরু করে বিরোধী সকল এই যে এই গোটা পদ্ধতিকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে, তা বলাই যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই দলবদলকারী নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটা, তা আগামী দিনে ভোটবাক্স খোলার পরই জনতা জনার্দন রায়ের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!