এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলবদলুদের মানব-শরীরের “চর্বির” সঙ্গে তুলনা, ফের বিস্ফোরণ দিলীপ!

দলবদলুদের মানব-শরীরের “চর্বির” সঙ্গে তুলনা, ফের বিস্ফোরণ দিলীপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্য রাজনীতিতে তিনি ঠোঁটকাটা হিসেবেই পরিচিত। বিরোধী দলকে আক্রমণ করার দিক থেকে হোক বা নিজের দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে মন্তব্য করা হোক, বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন দিলীপ ঘোষ। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। কিন্তু সেনাপতি হয়েও ঠিকমত সেই দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পার করতে পারেননি তিনি। তবে রাজ্যে গুটিকয়েক আসন পাওয়ার যে রেওয়াজ ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির, তার বাইরে দলকে বের করে 77 টি আসন দখল করে বিধানসভায় বিরোধী দলের জায়গায় বিজেপিকে বসাতে সমর্থ হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

কিন্তু ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য নিয়ে বিজেপি এগিয়ে গেলেও, তারা লক্ষ্য পূরণ না করতে পারার কারণে ইতিমধ্যেই দলে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। ভোটের আগে বিজেপিতে আসা নেতা-কর্মীরা যেমন বেসুরো হতে শুরু করেছেন, ঠিক তেমনই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় দলবদল করে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

আগামী দিনে আরও অনেক বিধায়ক এবং সাংসদ দলবদল করতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই দলবদলকারীদের মানব শরীরের চর্বি বলে অভিহিত করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে চর্বি বেশি থাকলে দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু চর্বি ঝরে গেলে তা শরীরের পক্ষে উপকারী বলে মন্তব্য করতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই শারীরিক মেদের সঙ্গে দলবদলকারীদের তুলনা করে দিলীপ ঘোষ আবার যে বিতর্ককে উস্কে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মুকুল রায় দলবদলের পর আরও অনেকে দলত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর তা নিয়েই এদিন প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আর সেই ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতি চলছে। আমরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তারা কষ্টের মধ্যে আছেন। আমরা তাদের সামলানোর চেষ্টা করছি। শরীরের চর্বি বেড়ে গেলে হয়ত দেখতে ভালো লাগে। ভরা ভরা লাগে। কিন্তু সেই চর্বি ঝরে গেলে শরীরের পক্ষে ভালো। এখন আমাদের চর্বি কম হচ্ছে। আস্তে আস্তে এরপর আমাদের আসল স্বাস্থ্যটা বোঝা যাবে।”

অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ একথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ভোটের আগে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু তারা বিজেপির প্রকৃত কর্মী নন। এক্ষেত্রে যারা এখন ক্ষমতার লোভের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, তারা চলে গেলে কারা প্রকৃত বিজেপির কর্মী, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন গেরুয়া শিবিরের প্রধান সেনাপতি। তবে দিলীপ ঘোষের এই বিলম্বিত বোধোদয় কেন?

এক সময় তো তিনি অন্য দল থেকে আসা নেতা-কর্মীকে গ্রহণ না করলে দলের শ্রীবৃদ্ধি হবে কি করে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন যখন দলবদলের প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে এবং বিজেপি থেকে অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যেতে চাইছেন, তখন সেই দলবদলকারীদের কেন মানব শরীরের ক্ষতিকর চর্বির সঙ্গে তুলনা করলেন দিলীপ ঘোষ? তাহলে কি চাপে পড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তার এই ধরনের বক্তব্য, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। ‌

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দিলীপ ঘোষ ভালোই বুঝতে পারছেন, মুকুল রায়ের পর আরও অনেক বিজেপি নেতা-নেত্রী দলত্যাগ করবেন। আর তা অনুধাবন করেই যাতে পরে বিতর্ক তৈরি না হয়, তার জন্যই যারা দলবদল করতে ইচ্ছুক বা যারা দলবদল করেছেন, তাদের মানব শরীরের ক্ষতিকর চর্বির সঙ্গে তুলনা করলেন। অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, শরীরে যেমন মেদ বাড়লে ভালো লাগে দেখতে, ঠিক তেমনই যে কোনো রাজনৈতিক দলে অন্য দল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের ভিড় হলে সেই রাজনৈতিক দলের বহর কিছুটা বাড়ে।

তবে মানব শরীরের ক্ষতিকর চর্বি যখন ঝরে যায়, তখন তা যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো লক্ষণ, ঠিক তেমনই যে কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে নিষ্ঠাবান কর্মীরা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বর্তমানে বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা দখল করার পর যখন আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন যোগদানকারী নেতা- নেত্রীদের সেই শরীরের ক্ষতিকারক মেদবৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!