এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলবদল করে কপালে জুটল মারধোর, অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে

দলবদল করে কপালে জুটল মারধোর, অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা যায়, পুরুলিয়া জঙ্গলমহল থেকে রীতিমতো ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে শাসক দল তৃণমূল। সে জায়গায় এলাকা দখল করেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর খুব বেশি দেরি নেই। এই অবস্থায় সামনের নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে রাজ্যের শাসক দল বলে জানা যাচ্ছে। এর সাথে চলছে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরানোর খেলা।

আর এবার দলবদলকে কেন্দ্র করে জামবনি এলাকায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠল বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মতো জামবনিতেও সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের দলবদলকারী কর্মীদের ওপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে। আর সেই নিয়েই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার জামবনি থানার খাটখুরা এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল তৃণমূল কর্মীদের।

সূত্রের খবর, এই বিক্ষোভ কর্মসূচির পর এলাকার বেশ কিছু মানুষ গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল দুর্গে প্রবেশ করে। আর তারপরেই অভিযোগ ওঠে বিজেপির দিকে। অভিযোগ, এই দলবদলের পর বৃহস্পতিবার রাতে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সদ্য তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে এলাকার বিজেপি কর্মীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে জামবনি থানার সামনে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে থানার এসডিপিও ঘটনাস্থলে আসেন এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে এই আশ্বাসের বিনিময়ে অবরোধ উঠে যায়। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে জামবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নিশিথ মাহাত জানিয়েছেন, বারংবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে এলাকায়। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছে একাধিকবার এবং মারধর করছে। এদিন তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার অভিযোগে বিজেপি নেতা ভীম সরেন এবং নিতাই হাটুদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি সভাপতি সুখময় শতপতি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, জামবনি এলাকায় বিজেপি ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যোগদান করেনি। সুতরাং মারামারি হানাহানি হওয়ার কোন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। আপাতত পুলিশি নির্দেশে সাময়িকভাবে ঝামেলা মিটকেও এর রেশ যে দীর্ঘদিন ধরে থাকবে সে কথা মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, দলবদল একটা সাময়িক ব্যাপার। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি রাজনৈতিক হানাহানি সৃষ্টি হয় তা মোটেই কাম্য নয়। আপাতত এই ঘটনার রেশ কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই এখন নজর থাকবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!