প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি তৃণমূল ভাঙন ধরাচ্ছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অন্দরেও। এবার পালা কংগ্রেসের। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা এবার তৃণমূলের আসার জন্য পুরোপুরি তৈরি। ইতিমধ্যেই তিনি চিঠি দিয়ে তৃণমূলের আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কথা হচ্ছে বারাসাত শহরের একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর দীপক দাসগুপ্তকে নিয়ে। জানা গিয়েছে, উত্তর 24 পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দীপক দাসগুপ্ত লিখিতভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। কিন্তু তার আগেই শুরু চাপানউতোর।

এবং তাঁর আবেদন গৃহীতও হয়েছে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, আগামী একুশে জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বারাসাতের কংগ্রেস নেতা দীপক দাসগুপ্ত তৃণমূলে যোগদান করবেন। অন্যদিকে দীপক দাসগুপ্তের তৃণমূলে যোগদানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই আরো একটি অস্বস্তিকর ঘটনা সামনে এলো। কার্যত বারাসাতের কংগ্রেস নেতা দীপক দাসগুপ্ত নির্বাচনের আগে একসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেগুলিকে হাতিয়ার হিসাবে শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে দেখা যাচ্ছে।

এবং সেখানেই দীপক দাসগুপ্তকে কখনো কুৎসাকারী বলে অভিহিত করা হয়েছে। কখনও নেত্রীর সরকারি প্রকল্পকে অপমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যকে অপমান করার জন্য পাল্টা জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে এই পোস্টার, পাল্টা তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের মতন প্রতিষ্ঠিত দল এ ধরনের নাম-গোত্রহীন পোস্টারকে কোন গুরুত্ব দেয়না। এক্ষেত্রে তিনি তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁকে সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেকথাও উল্লেখ করেন।

পাশাপাশি নিজেকে মানসিকভাবে বর্তমানের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক বলে উল্লেখ করেছেন দীপক দাসগুপ্ত। পেশায় আইনজীবী এবং দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসলে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে তৃণমূলে যোগদান পর্বের আগেই দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতাকে নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা তৃণমূল শিবিরে ছাপ ফেলবে না তো? রয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন।