এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলে গুরুত্ব নেই, এবার বিদ্রোহ করে তৃণমূল ছাড়ার পথে হেভিওয়েট আদিবাসী নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক?

দলে গুরুত্ব নেই, এবার বিদ্রোহ করে তৃণমূল ছাড়ার পথে হেভিওয়েট আদিবাসী নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক?

আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি তৃণমূল দল ছাড়লেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, যোগদান করলেন বিজেপিতে। তারপরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায়। দলকে তিনি কড়া ভাষায় জানালেন যে, দল যদি তাঁর গুরুত্ব না বোঝে, তবে তিনিও বিদ্রোহ করবেন। সেই সঙ্গে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দল যদি এবার তাঁকে বিধানসভার টিকিট না দেয়, তাহলে দল ছাড়তে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত তৃণমূল নেতা সত্যেন রায় হলেন তৃণমূলের এসসি এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি। তাঁর এই ঘোষণার পর, তা নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গেল। অনেকেই এর মধ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র দেখতে পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১১ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে জয়লাভও করেছিলেন তিনি। তবে বিধায়ক হবার পর সেসময়ের তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে। জেলা সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীতে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। আবার তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি গৌতম দাসের সঙ্গেও তার বিরোধ আছে। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুর কেন্দ্র থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন গৌতম দাস। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন সত্যেন বাবু। পরবর্তীতে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন গৌতম দাস।যাকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। এ কারণেই তিনি বিশেষ ক্ষুব্ধ দলের প্রতি।

তৃণমূল নেতা সত্যেন রায় অভিযোগ করেছেন যে, শাসক দল তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি দল করছেন। কিন্তু দল তাকে কোনো গুরুত্বই দেয় নি। এখনো এমনটাই চলছে। দলের প্রতি তাঁর তীব্র অভিযোগ, ” আমার প্রতি অনেক অন্যায়, অবিচার হয়েছে৷ অনেক অপমানিত হয়েছি। কত দিন বঞ্চনার শিকার হব? তার পরেও দল করছি। এর পর যদি অবিচার হয় তা হলে আমি বিদ্রোহ করব। দল যদি বিধানসভার টিকিট না দেয় তাহলে আমি একশোবার অন্য কিছু ভাবব। দলকে আমার গুরুত্ব বুঝতে হবে। এটা আমি রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, জেলা সভাপতি গৌতম দাস সবাইকেই জানিয়েছি।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে মনে করছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের অল্পকাল পূর্বে দলের প্রতি তাঁর এই বিশেষ বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত গঙ্গারামপুরে কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়ার পর, তিনি এখন জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন। তাই গঙ্গারামপুর কেন্দ্র থেকে সত্যেন বাবুর টিকিট পাওয়া অসম্ভব বলেই মনে করছেন অনেকে। জেলার অন্যান্য বিধানসভা আসন গুলিতেও তাঁর টিকিট পাবার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই নির্বাচনের আগে দলে নিজের গুরুত্ব বাড়াতেই দলকে এই তিনি এই বার্তা দিলেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

তৃণমূল নেতা সত্যেন রায় জানিয়েছেন যে, বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে তাঁকে দলে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, বলে মানতে নারাজ তৃণমূল। জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানালেন যে, তিনি বংশীহারি ব্লকের সভাপতি ও সেইসঙ্গে জেলার এসসি-এসটি মোর্চার সভাপতিও তিনি। দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দলে তাঁকে দুটি পদ দেয়া হয়েছে। দল কাকে টিকিট দেবে, সেটা তার কাজের নিরিখে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে দল। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানালেন যে, তৃণমূল দলে ভালো মানুষ কাজ করতে পারেন না। তাই অনেকেই দল ছাড়ছেন। তাদের জন্য দরজা খোলা আছে বিজেপির।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!