এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলে হেভিওয়েট নেতাকে কোণঠাসা করার অভিযোগে বিক্ষোভ অনুগামীদের, ক্রমশ চাপ বাড়ছে তৃণমূলের!

দলে হেভিওয়েট নেতাকে কোণঠাসা করার অভিযোগে বিক্ষোভ অনুগামীদের, ক্রমশ চাপ বাড়ছে তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। একদিকে বিজেপির প্রভাব যখন বাড়ছে, তখন তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে গিয়ে বিজেপির মোকাবিলা করা কার্যত ভুলতে বসেছে শাসক দল‌। তারা নিজেদের ঘর না সামলে কিভাবে তারা বিজেপির মোকাবিলা করবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। একসময় কালচিনি ব্লকে তৃণমূলে শেষ কথা বলতেন মোহন শর্মা।

কিন্তু এখন সেই কালচিনি ব্লকের সদ্য গঠিত কমিটি থেকে মোহনবাবুর বেশকিছু অনুগামী বাদ পড়ায় কার্যত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। সূত্রের খবর, এদিন মোহনবাবুর অনুগামীদের পক্ষ থেকে দালসিংসারা অঞ্চল পার্টি অফিসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। কেন তার অনুগামীদের এইভাবে ধরে ধরে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। আর এই গোটা ঘটনায় এখন অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কালচিনি ব্লকের 11 টি অঞ্চল কমিটিতে এই মোহন শর্মার অনুগামীদের প্রাধান্য বেশি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি 11 টি অঞ্চলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই মোহনবাবুর অনুগামীদের ডানা ছাটার মত ঘটনা সামনে আসে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজাভাতখাওয়া অঞ্চলের সভাপতি দায়িত্বে থাকা মোহনবাবুর ঘনিষ্ঠ অ্যালবার্ট সাংমা বলেন, “যারা সংগঠন বোঝেন না, তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভোটে এর খেসারত দিতে হবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে দল সিংপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্ভু জয়সোয়াল বলেন, “আগে এখানে কোনো গোষ্ঠীবাজি ছিল না। গণেশ আলিকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে মোহনবাবুর বিরুদ্ধে গোষ্ঠীবাজী করা হল। এই গোষ্ঠীবাজীর জন্য দলকে মূল্য দিতে হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই মোহন শর্মার বিভিন্ন অনুগামীদের বিভিন্ন অঞ্চলের নতুন কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার পরেই তারা এখন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সামনে নির্বাচন , তার আগে যদি দলের নেতাকর্মীরা এভাবে প্রকাশ্যে দলের নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন, তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেমন বৃদ্ধি হবে, ঠিক তেমনই এর প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে থাকলে আখেরে লাভ যে ভারতীয় জনতা পার্টির হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

কিন্তু যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা কিভাবে মেটানো যাবে! যেভাবে মোহন শর্মার অনুগামীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন, তাতে প্রলেপ দেওয়া কি সম্ভব? এদিন এই প্রসঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতি গণেশ মাহালি বলেন, “নতুন অঞ্চল কমিটি নিয়ে দলে কোনো ক্ষোভ বিক্ষোভ নেই। মোহনদার হাত ধরেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। যথেষ্ট ভারসাম্য রক্ষা করে অঞ্চল কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

তবে বর্তমান নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা যতই অস্বীকার করুন না কেন, তৃণমূলের অন্দরে যে তলায় তলায় চাপা দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে একের পরে্ এক মোহন শর্মার অনুগামীরা পদ থেকে ছাঁটাই হয়ে যাওয়ার পর সরব হতে শুরু করেছেন, তাতে ব্লক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বের ঘুম উড়বে বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!