এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > দলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ

দলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিতে। নির্বাচনের পূর্বে বিজেপিতে যোগদানের যেমন ঢল নেমেছিল, নির্বাচনের পর তার উল্টো স্রোত তৈরি হয়েছে। একের পর এক নেতা-নেত্রী, যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে পুরনো দলে ফিরে যাবার মনস্থ করেছেন। অনেকে দলের প্রতি বেসুরো হয়ে উঠেছেন। এই অবস্থায় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে বাড়ছিল জল্পনা। সম্প্রতি দলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁর বেরিয়ে আসা, নানা প্রশ্ন তুলে দেয়। তবে, এরপর এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

সম্প্রতি দলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি দলের সাংসদ ছাড়াও দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদে রয়েছেন। তাই তাঁর এই পদক্ষেপ নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল রাজনীতি মহলে। এবার এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য রাখলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি জানালেন, বিজেপি ছেড়ে দেবার কোন প্রশ্নই নেই। অনেক গ্রুপ প্রতিদিন তৈরি হয়। তারই একটি গ্রুপ থেকে তিনি বেরিয়ে গেছেন। এর সঙ্গে দল ছাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি নিজেকে বিজেপি দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলে জানালেন। তিনি জানালেন, বিষ্ণুপুর বর্তমানে অনেক শান্তিতে আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা একাধিক নেতা- নেত্রী আবার ফিরে যেতে পারেন তাঁদের পুরনো দলে। এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ জানালেন, অনেকেই এখন যাই যাই করছেন। নির্বাচনের আগে যারা এসেছেন, তাঁদের কথা আলাদা। যারা আড়াই বছর ধরে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করছেন তাঁদের কথা আলাদা। এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না বলেই, জানালেন তিনি। এভাবে দলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

কিন্তু আজ আবার বিষ্ণুপুরের দলীয় বৈঠকে যোগদান করছেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে লকডাউন চলছে, তাই মিটিং-মিছিল প্রায় বন্ধ রয়েছে। রাজ্য সরকারের এই লকডাউনের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, দলের পরাজয় এলেও তাঁর এলাকায় ভালোভাবেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। তাই এই পরিস্থিতিতে এখণোই শাসক দলের সঙ্গে হয়তো কোনো রকম বিবাদে জড়াতে তিনি ইচ্ছুক নন। আবার লকডাউনের মতো প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকেও মান্যতা দিয়েও বৈঠকে উপস্থিত হচ্ছেন না তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!