এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলে ‘পুরনো’ ও ‘কাজের মানুষেরা’ গুরুত্ব এবং কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। – উত্তাল বিজেপির অন্দরমহল !

দলে ‘পুরনো’ ও ‘কাজের মানুষেরা’ গুরুত্ব এবং কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। – উত্তাল বিজেপির অন্দরমহল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হল।এই তালিকা প্রকাশের পরের দিনই অর্থাৎ গত রবিবার বিজেপি দলের অন্দরে দেখা দিল ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চললো মারামারি, ভাঙচুর। অভিযোগ উঠেছে, দলের পুরনো কাজের মানুষেরা দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন, অন্যদিকে তৃণমূল ও অন্য দল থেকে আসা মানুষদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অপসারিত করে তাঁর স্থানে আনা হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন মুকুল রায়। গত রবিবার মুকুল রায় এ সম্পর্কে পুরুলিয়াতে জানিয়েছেন যে, দলের নতুন দায়িত্বটি তাঁর কাছে এখনো স্পষ্ট হয় নি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে তাঁর।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অপসারিত হয়ে গত শনিবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা দলের প্রতি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ” ৪০ বছর বিজেপির সেবা করার পরে তৃণমূল থেকে নেতা আসছেন বলে আমাকে সরতে হল!’’ গত রবিবারও তিনি জানালেন যে, আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে তাঁর পদক্ষেপ তিনি স্পষ্ট করতে চলেছেন। রাহুল সিনহার দলের প্রতি ক্ষোভ নিবারণের চেষ্টায় মুকুল রায় বলেছেন, “এক জনের ৩০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস একটা কথার উপরে বিচার করা ঠিক নয়। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যা মেটানো সম্ভব।’’ আবার এ প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা জানিয়েছেন, ” রাহুলদার একটু মন খারাপ থাকতে পারে। সামনে কথা হলে বোঝা যাবে। কিছু বলার থাকলে নিশ্চয়ই উনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলবেন।’’

প্রসঙ্গত গত রবিবারের বিজেপি দলের বিভিন্ন সদস্যদের ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙচুরের ঘটনায় অনেকেই রাহুল সিনহার অনুগামীদের দায়ী করেছেন। সারদা, নারদ কাণ্ডে জড়িত মুকুল রায়কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়াটাও অনেকে মেনে নিতে পারেন নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে বিজেপির দলের এক বিশেষ বৈঠক চলাকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি সভাপতি তারক ঘোষের সামনে বিক্ষোভ জানালেন শতাধিক বিজেপি কর্মী। তাদের অভিযোগ, বিজেপি দলের পুরোনো কর্মীরা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। বিজেপি দলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে চলে মারামারি, ভাঙচুর করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি তারক ঘোষ জানিয়েছেন যে, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন। তবে এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন জেলা বিজেপি সভাপতি গণেশ ঘোষ জানিয়েছেন, ” অজানা কারণে তারকবাবু আমাদের নিয়ে দল করতে চান না। কোনও বৈঠকে আমাদের ডাকা হয় না। কর্মীরা তাই ক্ষোভ জানিয়েছেন।’’

আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন ও অনুপম হাজরা। এই বৈঠকে ব্যাপকভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যায়। ভাঙচুর, ধস্তাধস্তি চলে। দলের পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে অনুপম হাজরার গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। বৈঠকের পর আবার মারামারি শুরু হয় বিজেপি দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য গড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত এক্ষেত্রে অভিযুক্ত করেছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দত্ত ও মণ্ডল সভাপতি দেবোপম চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দত্ত জানিয়েছেন যে, ৪৫ জন মন্ডল সভাপতিকে বৈঠকে আহ্বান করা হয়নি বলেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

আবার, বাঁকুড়া জেলায় বিজেপির ২ জন মন্ডল সভাপতির অপসারণ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তবে এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র জানিয়েছেন যে, বিক্ষোভকারীরা কেউই বিজেপি সদস্য নন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!