দলে সদস্য বাড়ানো নিয়ে হল বৈঠক, বড়সড় সিদ্ধান্ত বিজেপির, জেনে নিন উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য July 11, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির অভূতপূর্ব ফলাফল হয়েছে। 18 টি আসন দখল করে 22 টি আসন দখল করা তৃণমূলের ঘাড়ে প্রবল নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে তারা। গেরুয়া শিবিরের মূল টার্গেট, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই সারা দেশের পাশাপাশি এই বাংলাতেও সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বাড়তি জোর দিয়েছে তারা। নিয়মমত বিজেপির সদস্য হতে গেলে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মিসড কল দিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে হবে। কিন্তু এত সহজ-সরলভাবে কাউকে সরাসরি দলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি নন বিজেপির নেতা কর্মীরা। আর তাইতো এবার যে সমস্ত ব্যক্তি তাদের দলে প্রবেশ করতে মিসড কল দিচ্ছেন, সেই তালিকা তাদের হাতে আসার পর সেখান থেকে ঝাড়াই বাছাই করে সকলকে দলে গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতাকর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। ফলে তৃণমূলের অনেক কর্মীকে দলে নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে বলে বিজেপির অন্দরে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। যার জেরে সংঘের পক্ষ থেকে গেরুয়া শিবিরকে সতর্কও করে দেয়া হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে যাতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সুযোগে অন্য দল থেকে কোনো ভেজাল যাতে তাদের দলে আসতে না পারে, তার জন্য এবার ঝাড়াই বাছাই করে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু যেখানে উপর থেকে মিসড কলের মাধ্যমে দলে প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে মিসড কলের পর আবারও সেই সমস্ত কর্মীদের ঝাড়াই বাছাই করার সিদ্ধান্ত একটি জেলা নেতৃত্ব নিলে, তা কি নিয়মভঙ্গের শামিল হবে না! এদিন এই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করলে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই এই ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির এক যুব নেতা বলেন, “নানা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত, অপরাধী, সমাজবিরোধী যারা এখন অন্য দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে, তারা হাওয়া বুঝে মিসডকল দিয়ে বিজেপিতে ঢুকতে চাইছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। কে কে সদস্য হয়েছে, তাদেরকে স্লিপ দেওয়া হবে। যাদের পছন্দ হবে না, তাদের আমরা স্লিপ দেব না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির এই উদ্যোগ কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যদি গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে হয় তাহলে এইভাবে কর্মী বাছাই করে তারা কোনদিনই ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে পারবে না বলে মনে করছে একাংশ। তাই সেইভাবে ঝাড়াই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দলে কর্মী প্রবেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও শীর্ষনেতৃত্ব এই ব্যাপারে তাদের সবুজ সঙ্কেত দেয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -