এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলে সক্রিয় নেই তবুও বড়োসড়ো দায়িত্ব পেলেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এই নেতা,বাড়ছে অসন্তোষ ঘাসফুল শিবিরে

দলে সক্রিয় নেই তবুও বড়োসড়ো দায়িত্ব পেলেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এই নেতা,বাড়ছে অসন্তোষ ঘাসফুল শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়েক বছর হল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কাটোয়ার পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সমীর সাহা। ২০০৫ সাল থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাটোয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। সেসময় তিনি কংগ্রেস করতেন। এরপর ২০১৫ সালে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে, সে বছরই সদলবলে তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপর দলে তেমন একটা সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। সম্প্রতি তাঁকে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক করা হয়েছে। দলের এই পদক্ষেপে দলের একাংশ যেমন অসন্তুষ্ট, তেমনি কটাক্ষ করেছে একাধিক বিরোধী শিবির।

জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরেই দলে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। শুধুমাত্র কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বড় পদ দেয়া হয়েছে তাঁকে, কটাক্ষ করেছে বিরোধিরা। তাঁদের কটাক্ষ, পুরসভা এলাকাকে পর্যন্ত ভালোভাবে চেনেন না তিনি। তবে, এ প্রসঙ্গে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিরোধীদের অপপ্রচারে কান না দিতে। সমীরবাবু অত্যান্ত ভালো মানুষ। দীর্ঘদিন তিনি কাউন্সিলের ছিলেন। পুরসভার কাজে তাঁর প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। সরকার তাঁকে মনোনীত করায় তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁর হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে দিয়েছেন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাটোয়া পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরেরা ও পুরকর্মীরা। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন যে, সকলেরই মত প্রকাশ করার অধিকার আছে। তিনি যে দায়িত্ব পেয়েছেন, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন তিনি। নাগরিক পরিষেবার মান ধরে রাখা হলো, তাঁর একমাত্র কর্তব্য।

তবে, পুর প্রশাসকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁকে আনায়, দলের একাংশ অসন্তুষ্ট। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দলে তেমন একটা সক্রিয় ভূমিকায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি দলের সভা-সমিতিতেও সেভাবে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এ প্রসঙ্গে জনৈক তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন যে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে তিনি এসেছেন, সেটাই কেউ জানেন না। দলের অনুষ্ঠানে, এমনকি ভোটের সময়ও তাঁকে দেখা যায়নি। তবে, সম্প্রতি দলের কিছু কর্মসূচিতে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অনিল দত্ত জানালেন যে, তৃণমূলের স্বার্থে চারদিনের মধ্যে নতুন প্রশাসক বসানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের এতে কোনো লাভ হয়নি। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, নতুন প্রশাসক কাটোয়ার মানচিত্রই ঠিকমতো চেনেন না। পুরসভাগুলি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়তে পরিণত হয়েছে। মানুষ সবকিছু বুঝতে পারছেন। যদি, নীতি পরিবর্তন না হয়, তবে ব্যক্তি পরিবর্তন করে কোন লাভ হবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!