এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের অন্তর্বর্তী বিদ্রোহে টালমাটাল শাসকদল! হেভিওয়েট নেতার নিদান – বাড়িতে বসে থাকুন! শোরগোল দলের অন্দরে

দলের অন্তর্বর্তী বিদ্রোহে টালমাটাল শাসকদল! হেভিওয়েট নেতার নিদান – বাড়িতে বসে থাকুন! শোরগোল দলের অন্দরে

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের ভরাডুবির পরই সেখানকার জেলা সভাপতির পদ থেকে সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরিবর্তে সেই সৌরভবাবুরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কিষাণকুমার কল্যানীকে সেই জেলার দায়িত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী।

আর সভাপতি পরিবর্তনের পর থেকেই গোষ্ঠী বিভাজন আরও প্রকট হতে শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরে। তবে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে যতই বিদ্রোহ ঘোষণা করুক না কেন, তিনি যে তার অবস্থানে অনড় তা বারেবারেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিষাণ কল্যাণী। বিরোধী নেতাদের নিজেদের দিকে টানা তো দূর অস্ত, উল্টে তাদের বাড়িতে বসে থাকার নিদান দিলেন তিনি।

এদিন এই প্রসঙ্গে কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “বুথ স্তর থেকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকে নিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের ব্লক কমিটিতে বসিয়ে নীচু তলায় স্বচ্ছতা আনা সম্ভব নয়। বরং তাঁরা বাড়িতে বসে একটু বিশ্রাম করুন। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রক্ষার জন্যই আমি ব্লক কমিটিগুলিতে দুর্নীতিগ্রস্তদের রাখিনি। পুরোনো অস্বচ্ছ নেতারা সরে গেলেই নতুন করে উঠে আসা স্বচ্ছ নেতৃত্ব দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের জনসংযোগ নেই। জনসংযোগ থাকলে মানুষ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করত। কিন্তু তা না করে বরং নতুন কমিটি ঘোষণার পরে অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মানুষ তৃণমূলের প্রতি বিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে।”

এদিকে কিষাণবাবু এই দাবি করলেও জেলার দলীয় সংগঠনে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কমছে না কিছুতেই। দলের কমিটির তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়া নেতারা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হতে শুরু করেছেন। তবে সভাপতি হওয়ার পর যেভাবে কিষাণ কুমার কল্যাণী বিরোধী গোষ্ঠির নেতাদেরকে সরিয়ে নিজের মতো করে বিভিন্ন কমিটি ঘোষণা করছেন, তা নিয়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট প্রায় অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই প্রসঙ্গে কিষানবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় উন্নয়ন জোয়ার এনে দিলেও দল হেরেছে জলপাইগুড়িতে। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ভাবমূর্তিই এই জন্য দায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ব্লক সভাপতির দায়িত্বে তাঁরা রয়েছেন। তারপরেও দল হারায় তাঁদের পদ থেকে আগেই সরে দাড়ানো উচিত ছিল। বুথ স্তর থেকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকে নিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে শাসকদলের ভরাডুবি হওয়ার পরই এর পেছনে যেমন ধর্মীয় মেরুকরণ কাজ করেছে, ঠিক তেমনই দায়ী আদিদের বদলে নব্য তৃণমূলীদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া এবং কাটমানি। আর তারপরেই জেলা সভাপতির দায়িত্ব কিষান কল্যানীকে দেওয়ার পরই তিনি সমস্ত ব্লক কমিটি ভেঙে দেন এবং নতুন ব্লক কমিটি ঘোষণা করেন।

আর তারপরই যেভাবে তৃনমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা সভাপতি তার সুর কিছুটা হলেও নমনীয় করবেন বলে মনে করেছিল একাংশ। কিন্তু তা তো তিনি করলেনই না, উল্টে বিরোধীদের হুংকার দিয়ে তাদের বাড়িতে বসে থাকার পরামর্শ দিয়ে নিজের কতৃত্ব স্থাপনেরই চেষ্টা করলেন কিষাণ কুমার কল্যাণী বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!