এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করা সৌমিত্র খাঁ, বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত বিজেপির

দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করা সৌমিত্র খাঁ, বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েট সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে দল শোকজ করতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই শোকজ করবে না বিজেপি। তবে, দলের প্রতি তাঁদের বিরূপ মন্তব্য যে দলের অস্বস্তিকে তীব্রভাবে বাড়িয়ে তুলেছে, ঘরে- বাইরে যে সমস্যা বাড়ছে দলের, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে, বিজেপির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, এই তিন ব্যক্তিকে এখন শোকজ করা হচ্ছে না। এদের শোকজ করা হবে বলে, যে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল তা সত্য নয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিকবার কটাক্ষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি গত বুধবার। তবে, শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছেন তিনি। তবে এরপরেও দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ বন্ধ করেননি তিনি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন সেদিন। এরপর দুধ ও জলের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেও সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি কটাক্ষ করেছেন।

আর মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় লিখেছিলেন যে, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল। তবে, পরে তিনি কিছুটা সুর নরম করে বলেছেন যে, ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে এভাবে ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। আবার বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করে দেওয়ার পর,এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাবুল সুপ্রিয় হাফ ছেড়ে বেঁচে গেছেন। এর পাল্টা জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন যে, বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন সক্রিয় মন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল তাঁকে কম গালি-মন্দ করেন নি। এখন হাফ ছেড়ে বেঁচে গেছেন বাবুল সুপ্রিয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন যে, দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে মনের আনন্দে দিলীপ ঘোষ অনেক কিছুই বলে থাকেন। আবারো তিনি বলেছেন, যা তিনি শুনেছেন। এই উক্তিটি কেন করছেন তিনি? সেটা যদি এবারকার মতো তিনি সজ্ঞানে বুঝেও না বুঝেন তবে ক্ষতি কি? এটাই তাঁর প্রতিক্রিয়া। তাঁর হাফ ছেড়ে বাঁচাতে দিলীপ ঘোষ আনন্দ পেয়েছেন। এতে তিনি আনন্দিত। রাজ্য সভাপতি তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র। তিনিও আন্তরিক ভাবে শ্রদ্ধা করেন দিলীপ ঘোষকে।

আবার, ফেসবুক লাইভে বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন গত বৃহস্পতিবার। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তকে কটাক্ষ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, দলের ভরাডুবির জন্য এদের মতো দালাল নেতারাই দায়ী। তিন হেভিওয়েট ব্যক্তির এই ক্ষোভ প্রকাশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয় বিজেপি শিবিরকে। ঘরে, বাইরে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। এরপর এই তিন ব্যক্তিকে শোকজ করা হবে, এমন একটা খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা মিথ্যে বলে জানানো হলো বিজেপির পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!