এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ এখনো চিন্তায় রাখছে তৃণমূল শিবিরকে, বড় বাধা তৈরী হচ্ছে সুপ্রীমোর নির্দেশিকা মানার ক্ষেত্রে

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ এখনো চিন্তায় রাখছে তৃণমূল শিবিরকে, বড় বাধা তৈরী হচ্ছে সুপ্রীমোর নির্দেশিকা মানার ক্ষেত্রে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বহুবার। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন বহু জায়গায়। ভোটে জিতে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবলভাবে বিদ্যমান আর তাই নিয়েই উদ্বেগে তৃণমূলের একাংশ। প্রসঙ্গত আইএনটিটিইউসির সর্বভারতীয় সভানেত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছেন রাজ্যসভা অন্যতম সাংসদ দোলা সেন। আর এই দোলা সেনের অন্যতম কাছের লোক আইএনটিটিইউসি প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় যিনি দুর্গাপুরের অন্যতম তৃণমূল নেতা বলেও পরিচিত।

আর এই প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব অপরিচিত নয় দুর্গাপুরে। ফলস্বরূপ দলের কোনো অনুষ্ঠানেই একসাথে কখনোই পাওয়া যায়না এই দু’জনকে। তবে দোলা সেন যে যে অনুষ্ঠানে থাকেন, তার পাশে কিন্তু আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায়। আর তা থেকেই পরিষ্কার দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এখনো যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক ওন্তত দুর্গাপুরে। প্রসঙ্গত শিল্পাঞ্চলের কারখানায় স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি এবং তাঁদের প্রতিষ্ঠা কায়েম করতে বরাবরই মতবিরোধ দেখা গিয়েছে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এবং প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে।

এমনকি একই দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও শোনা গেছে। বিশ্বনাথ পাড়িয়াল প্রকাশ্যেই সংগঠনের একাংশের দিকে অনেকবার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তবে প্রভাত চট্টোপাধ্যায় দলীয় দ্বন্দ্বের কথা আজও মানেন না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ধোপে টেকেনা। তৃণমূলের একাংশের দাবি, নির্বাচনী প্রচার নিয়েও এই দুই নেতার বিরোধিতা প্রকাশ্যে এসেছে। ভোটের সময় গোপালমাঠে দলের একাংশ তাঁর দেওয়াল লিখনে কোনো সাহায্য করেনি বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথবাবু। সে সময় অবশ্য দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পরবর্তীতে আবার এই বিরোধিতা প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পায় বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে প্রভাত চট্টোপাধ্যায় দোলা সেনের অনুগামী হলেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু প্রকাশ্যেই শ্রমিক সংগঠনের ব্যাপার থেকে প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুরে যেকোনো শ্রমিক সংগঠনের কর্মসূচিতে দোলা সেন এর পাশে দেখা যাচ্ছে প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে। আর তাই নিয়েই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে দলনেত্রীর নির্দেশ এড়িয়ে শুধুমাত্র দোলা সেনের কাছের লোক হওয়ার দরুণ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় কি শ্রমিক সংগঠনের ব্যাপারে থাকার সাহস পাচ্ছেন? অন্যদিকে প্রভাত চট্টোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি।

তিনি পাল্টা জানিয়েছেন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সৈনিক হিসেবে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা মেনে মানুষের জন্য কাজ করছেন। তবে বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে  দোলা সেন জানিয়েছেন, যাবতীয় সাংগঠনিক সমস্যাকে সংগঠনের ভেতরেই মিটিয়ে নেওয়া হয়। তবে বর্তমানে সংগঠনের কোন সমস্যা নেই বলে জানান তিনি। অন্যদিকে দল এবং শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার এক শিল্প ও এক ইউনিয়নের কথা বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড় বাধা তৈরি করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দুর্গাপুরের বহু কারখানাতেই এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের দেখা মেলে। ফলস্বরূপ মতানৈক্য বেড়ে চলেছে। যদিও দোলা সেন নিজেই জানিয়েছেন, এরকম কোন খবর তাঁর কাছে নেই। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে যদি অন্তর্দ্বন্দ্ব বজায় থাকে, তাহলে তার সুযোগ অবশ্যই বিরোধীরা নেবে এবং তাতে তৃণমূলের সংগঠনের ওপর প্রভাব পড়বে। তাই অবিলম্বে এই পরিস্থিতির বদল হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!